[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও জন্ম- কর্ম মৃত্যুর রহস্য।]
বেদ যজ্ঞ শুরু করলেই তোমাদের জীবনে একটার পর
একটা সত্য প্রকাশ হতে থাকবে। বেদ যজ্ঞ বিহীন মানব জীবন আর পশুর জীবন সমান। সৃষ্টি –স্থিতি-
লয়ের মাধ্যমকে কেন্দ্র করেই জীবের জন্ম- কর্ম –মৃত্যু। জীব যত বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে
নিজ আত্মাকে উন্নত স্তরের অভিমুখে নিয়ে যাবে ততই সে উন্নত জীবন পাবে পরকালে বা
পরের জন্মে। পিতা যতদিন না তার সন্তানদের মনের মতো করে গড়ে তুলতে পারেন, ততদিন
তাঁর শান্তি থাকে না। তাই আমিও আমার সন্তানদের যতদিন না আমার মতো করে গড়ে তুলতে
পারছি, ততদিন আমারও কর্মের শেষ নেই, সন্তানদেরও বিশ্রামের কোন উপায় নেই। তাই যতদিন না আমার সন্তান আমার মনের মতো ভাবে গড়ে না
উঠে, ততদিন তাকে আমি জন্ম- কর্ম মৃত্যুর নাগপাশে বেঁধে রাখি। আমার মনের মতো হয়ে
গেলেই তার বিশ্রাম। আর তাকে এই জন্ম- কর্ম মৃত্যুর কবলে পড়তে হয় না। সে নিত্য আমার
সঙ্গে লীলায় মত্ত থাকে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।