[ বেদ যজ্ঞ দ্বারা তোমরা ব্রহ্মগুণে পূর্ণ হয়ে ব্রাহ্মণ হয়ে মুক্ত হও।]
তোমরা ব্রহ্ম থেকেই উৎপন্ন। তাই ব্রহ্মগুণের
পূর্ণ রূপ তোমদের মধ্যে বিরাজ করছে। এই ব্রহ্ম কি রকম তা জানো আগে বেদ যজ্ঞ করে।
ব্রহ্ম কালত্রয়দ্বারা অবাধিত। ব্রহ্ম সর্বকালের দ্বারা অবাধিত। ব্রহ্ম হলেন সগুণ ও
নির্গুণ পবিত্র সত্তা। ব্রহ্ম হলেন আদিমধ্যঅন্ত শূন্য। এই জগতের সবকিছুই ব্রহ্ম—সবকিছুই
তাঁর অধীনে ও তাঁর সাথে যুক্ত। ব্রহ্ম হলেন মায়াতীত ও গুণাতীত। ব্রহ্ম হলেন অনন্ত
অপ্রমেয় অখণ্ডপরিপূর্ণ জ্যোতির্ময় সত্তা। ব্রহ্ম হলেন অদ্বিতীয় পরমানন্দস্বরূপ,
শুদ্ধবুদ্ধমুক্ত সত্য স্বরূপ সর্বব্যাপক অভিন্ন এবং অপরিচ্ছিন্ন পবিত্র সত্তা।
ব্রহ্ম হলেন সচ্চিদানন্দ এবং স্বপ্রকাশ সেই আদিমধ্যঅন্তহীন সত্তা। মন ও বাক্যের
অগোচর হলেন ব্রহ্ম। ব্রহ্ম হলেন বেদান্তশাস্ত্রের দ্বারা সর্বদা জ্ঞাতব্য ও বেদ
যজ্ঞের উজ্জ্বল জ্যোতিঃ। ব্রহ্ম কখনই দেশ –কাল-পাত্র দ্বারা পরিচ্ছিন্ন হন না।
ব্রহ্ম সর্বদা সর্বতো পরিপূর্ণ। ব্রহ্ম হলেন তুরীয় নিরাকার এবং অদ্বয়। ব্রহ্ম হলেন
অদ্বৈত অনির্বাচ্য। ব্রহ্ম হলেন প্রণবস্বরূপ ওঁকার ধ্বনি। ব্রহ্মকে ওঁকারপ্রণবের
সঙ্গে অভিন্ন বলা হয়। প্রণবাদি যাবতীয় মন্ত্র- যন্ত্র হলেন ব্রহ্ম। ব্রহ্মের চারিটি পাদ—অবিদ্যাপাদ, বিদ্যাপাদ,
আনন্দপাদ ও তুরীয় পাদ। তুরীয়পাদ হল ব্রহ্মের স্বরূপ আর বাকী তিনটি পাদ হল ব্রহ্মের
তিনটি বিভুতি। হরি ওঁ তৎ সৎ। Please visit web site—BISWA MANAB SIKSHA BLOGSPOT.COM