[ বেদ যজ্ঞ করে নিজের প্রাণরূপী অগ্নিকে জানো তাহলেই ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে
মুক্ত পুরুষ রূপে সর্বত্র চিবরণ করবে—এই পার্থিব জগতের কোন পাপ বা আবর্জনা তোমাকে
স্পর্শ করতে পারবে না।
তোমাদের শরীরে প্রাণরূপী যে অগ্নি তিনিই হলেন
পরমাত্মা--- যিনি প্রাণ, অপান, ব্যান, সমান ও উদান এই পঞ্চবায়ু দ্বারা সতত আবৃত
করে রেখেছেন ও তোমাদেরকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন সদায় প্রাণবন্ত রেখে। সেই
প্রাণাগ্নি রূপী পরমাত্মাকে না জানলে মানব জীবন বৃথা হয়ে যায়—কারণ তিনিই হচ্ছেন
সকলের জ্ঞানদাতা- অভয়দাতা- শক্তিদাতা পরমপুরুষ। তিনি আদি- সনাতন ব্রহ্ম। তাঁর
প্রসাদেই মানুষ বা জীব সাহস অবলম্বন করে নির্ভয়ে এ পৃথিবীতে বিচরণ করে। তাই দেহস্থ
বৈশ্বানর অগ্নিই হলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মূল সত্তা। তিনিই তাঁর বিশ্বরূপে সকলকে
ধারণ করে আছেন এবং তাঁর এই শক্তিবলেই সৃষ্টি –স্থিতি – লয় ঘটে চলেছে। বেদ যজ্ঞ করে
জেনে নাও তোমরা—ব্রহ্মস্বরূপ অমৃতস্বরূপ শক্তির লীলা খেলা প্রতিনিয়ত তোমাদের মধ্যে
চলছে অগ্নির প্রভাবে এবং এই সকল বিশ্বজগৎ প্রতিনিয়ত বেদ যজ্ঞের দ্বারা সেই অগ্নিতেই আহুতিরূপে
বিলীন হচ্ছে। হরি ওঁ তৎ সৎ।