Home » » বেদ যজ্ঞ করে জীবনে নূতন কিছু করে দেখাও ।

বেদ যজ্ঞ করে জীবনে নূতন কিছু করে দেখাও ।

[  বেদ যজ্ঞ করে জীবনে নূতন কিছু করে দেখাও]
বসে না থেকে কিছু করে দেখাও। কাজ করলেই বুদ্ধি বাড়বে। বুদ্ধি খাটিয়ে দেখো সকলের মঙ্গলের জন্য নিশ্চয় কিছু একটা করতে পারবে ও একটা দাগ রেখে যেতে পারবে। কিছু একটা করে দেখাবার জন্যই তোমাদের শিক্ষা। শিক্ষা লাভ করে যদি সাধারণ মানুষের ন্যায় জীবন অতিবাহিত করো—তবে শিক্ষার মূল্য কি থাকবে? কাজ করার পথের অভাব নেই – যে কোনো পথে তুমি মানুষকে সৎ ও কল্যাণের পথে সংঘবদ্ধ করতে পারো। কেবল দরকার তোমাদের একটা সুন্দর মন ও চেতনা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রাজা রাম রামমোহন রায় যখন সমাজের বুকে কাজ শুরু করেছিলেন তখন এখনকার মতো কাজ করার স্বাধীনতা ছিল না। তবুও তাঁরা সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সমাজকে আলো দেখাতে পেরেছিলেন। তোমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক – তোমাদের জ্ঞান বুদ্ধি এখন সারা বিশ্বের সাথে যুক্ত—এতো সুযোগ থাকা সত্বেও তোমরা  এত দুর্বল কেন? দুর্বলতার মতো জঘন্য পাপ আর দ্বিতীয় নেই। দুর্বলতাকে জয় করে জেগে ওঠো – নিজের জ্ঞান বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সংগ্রাম শুরু করো পথপ্রদর্শক রূপে—আলো দেখাও সমাজকে—সংঘবদ্ধ করো সমাজকে জ্ঞান ও সত্যের পথে। তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে গ্রামে গ্রামে সংগঠন করো নূতন পথে। রুজি- রোজগারের পথের সন্ধান করো এই মঞ্চে অবস্থান করে। সত্য, ত্যাগ ও সেবার মাধ্যমে নিজের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে রুজি রোজগারের ব্যবস্থা করে দেখাও। মানুষের সুখ- দুঃখে সংঘবদ্ধ ভাবে গিয়ে দাঁড়াও। তোমরা একা কিছু করতে পারবে না, কিন্তূ সংঘবদ্ধভাবে সবকিছু তোমরা করতে পারো। তোমরা প্রতিটি গ্রামে একটি করে নায্য মুল্যের দোকান খোলো বিশ্বমানব শিক্ষা সেবা কেন্দ্র নাম দিয়ে। সেই পথে গিয়েও তোমরা রুজি—রোজগারের ব্যবস্থার মাধ্যমে সংগঠিত হতে পারবে এক মঞ্চে।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide