[বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে সৎ চিন্তা ও চেতনা জাগ্রত হলেই মানুষ দেবত্বের অভিমুখে যাত্রা করে।]
বেদ
যজ্ঞের দ্বারা বিশ্বমানব শিক্ষা মানুষকে ডাক দিয়ে চলেছে সৎ ও
কল্যাণের পথে যাবার জন্য নিজের অন্তরের আবদ্ধ দুয়ারকে খুলে নিয়ে। মানুষ যদি অন্তর
না খুলে তবে তার চোখ- কান কোন কিছুই খুলতে পারবে না এ জগতে। চিন্তা ও চেতনাহীন
অবস্থায় তাকে এই সুন্দর মানবজীবন বৃথায় নষ্ট করতে হবে। তারা তো মানুষের চামড়া পড়ে
থাকলেও পশুবৎ এ পৃথিবীর বুকে বিচরণ করে। চিন্তা ও চেতনার দ্বারা যারা বিবেক পক্ষীর
ডানার উপর ভর করে উড়ে যেতে পারে না, তারা কিভাবে জানবে নিজেকে এক ঈশ্বরের
প্রতিনিধি রূপে?পিতা মাতা সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকে রক্ত-বীজের দ্বারা আর চিন্তা ও
চেতনাকে জাগ্রত করে মানুষকে মানুষ হতে হয়। এই চিন্তা ও চেতনা দ্বারা অন্তর না
খুললে মানুষ নিজের দায়- দায়িত্বের বোঝা পালন করে মনুষ্যত্বের গুণগুলি ফুটিয়ে তুলতে
সক্ষম হয় না। চিন্তা ও চেতনাহীন মানুষ আর পশু সমান এই জগতে। তাদেরকে নিয়ে
ব্যবসা-বাণিজ্য করছে ও নির্বিচারে হত্যা করছে, তবুও প্রতিবাদ করার ক্ষমতা নেই। এই
পশুদের ন্যায় হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ এই পৃথিবীর বুকে। তাদের নিজস্ব কোন চিন্তা ও
চেতনা নেয়, তারা অন্যের হাতের পুতুল হয়ে মানুষের চামড়া পড়ে অন্ধকারেই থেকে যায়
পশুদের ন্যায়। যাদের অন্তর খোলা থাকে না তাদেরকে যতই সত্যের পথ দেখানো হোক না কেন
তারা সেই পথে চলবে না, তারা পশুর ধর্ম পালন করে চিরকাল এক শ্রেণির মানুষের শিকার
হয়ে জীবন কাটিয়ে দিবে। তাই সময় থাকতে মানুষের উচিত সৎ চিন্তা ও চেতনা দ্বারা
পশুত্ব ভাবকে বলি দিয়ে নিজেকে মানুষের গুণ দ্বারা বিভূষিত করে দেবত্বের অভিমুখে
যাত্রা করা বেদ যজ্ঞের
মাধ্যমে।