[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও জীবের এই জন্ম- মৃত্যুর
পিছনে কি রহস্য আছে?]
সৃষ্টি –স্থিতি- লয়ের মাধ্যমকে কেন্দ্র করেই
জীবের জন্ম- কর্ম –মৃত্যু। পিতা যতদিন না তার সন্তানদের মনের মতো করে গড়ে তুলতে
পারেন, ততদিন তাঁর শান্তি থাকে না। তাই আমিও আমার সন্তানদের যতদিন না আমার মতো করে
গড়ে তুলতে পারছি, ততদিন আমারও কর্মের শেষ নেই, সন্তানদেরও বিশ্রামের কোন উপায় নেই।
তাই যতদিন না আমার সন্তান আমার মনের মতো
ভাবে গড়ে না উঠে, ততদিন তাকে আমি জন্ম- কর্ম –মৃত্যুর নাগপাশে বেঁধে রাখি। আমার
মনের মতো হয়ে গেলেই তার বিশ্রাম। আর তাকে এই জন্ম- কর্ম –মৃত্যুর কবলে পড়তে হয় না।
সে আমার নিত্য লীলার সাথী হয়ে, আমার সাথে লীলায় মত্ত থাকে।
এই জন্ম- কর্ম –মৃত্যুর লীলা কতদিন চলবে?
একটি জীব অর্থাৎ যাকে তোমরা আত্মা বলছো তা থেকে
অসংখ্য জীবের সৃষ্টি হচ্ছে, সেগুলো সবই আমার সন্তান বা শক্তির রূপ – তাদের মধ্য দিয়েই আমি আমার এই জন্ম- কর্ম
– মৃত্যুর লীলা চালিয়ে যাচ্ছি, এই লীলা কোনদিন-ই বন্ধ হবে না—কারণ আমি চির যৌবনে
ভরপুর আর তোমাদের ধরিত্রী মাতা চির যৌবনা হয়ে নিত্য-নূতন ভাবে আমার কাছে প্রকাশিত—তার
আমার সৃষ্টিকে ধারণ করতেই আনন্দ । সবই আমার শক্তির রূপ ও আমি সবার সাথে যুক্ত
থেকেও নির্বিকার। কত পৃথিবী সৃষ্টি হচ্ছে ও ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত কিন্তু আমি
নির্বিকার।