[ বেদ যজ্ঞ করে দেশের উন্নতি ঘটানোর সহজ পথ আবিষ্কার করো।
দেশের উন্নতি ঘটানোর মূলে মানুষের জ্ঞান- বুদ্ধির শক্তি কাজ করে।
জ্ঞান-বুদ্ধির জাগরণ ঘটানোর পরিবেশ দেশের রাজাকে করতে হয় রাজবিদ্যার কৌশলে। দেশের
রাজা যদি রাজবিদ্যা জ্ঞান আমার নিকট থেকে গ্রহন না করে, তবে সে দেশের রাজা দুর্বল
হয়ে দেশকে সর্বদিকে দুর্বল করে তোলে ও দেশকে চোরাবালির উপর প্রতিষ্ঠিত করে। দেশের
রাজা যদি আমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ সৃষ্টি করে, তবে দেশের প্রজারা রাজা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
বিচ্ছিন্নতাবাদী দল সৃষ্টি করে গৃহযুদ্ধ লাগাবার সুযোগ গ্রহণ করে। তাই
সর্বাগ্রে যে কোন দেশের রাজাকে রাজবিদ্যাযোগ
শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় সরাসরি আমার অনুগত দাস বা শিষ্য হয়ে। রাজার উপযুক্ত জ্ঞান ও
শক্তি লাভ করার পর আমিই তাকে রাজসিংহাসনে বসিয়ে তার রাজত্বের উন্নতি ঘটানোর পরিবেশ
রচনার জ্ঞান দান করি। আমার জ্ঞান লাভ না করে কেউ রাজা হলে তার রাজসিংহাসন টলমল
করে, তাই সেই দেশের প্রজাদের উন্নতি ব্যাহত হয় সর্বক্ষেত্রে। দেশের প্রজারা জাতীয়
জ্ঞান, মানবিক মুল্যবোধ ও নৈতিক জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হয়ে স্বার্থপর প্রজাতে পরিণত
হয়। দেশ স্বার্থপর লোকে পূর্ণ হয়ে যায়। কেউ আর দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করে না।
সবাই স্বার্থপরের ন্যায় নিজের পার্থিব সম্পদের উন্নতির দিকে মানবিক মুল্যবোধ ও
নৈতিক জ্ঞান জলাঞ্জলি দিয়ে চোরাপথে এগিয়ে চলে ও দেশের মূল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জাত- ধর্ম – সম্প্রদায়- ভাষা – আঞ্চলিকতা এসব
সংকীর্ণতা নিয়ে দেশ গড়তে গেলেই সেই দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে থাকবে। সেই দেশের মানুষ
অমানুষে পরিণত হবে সত্যজ্ঞানের অভাবে। যে কোন দেশ গড়ে উঠবে মানব্জাতির সত্যজ্ঞান,
মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। দেশের আইন তৈরী হবে সত্যজ্ঞানের
বিধান মেনে। দেশের শান্তি- শৃঙ্খলা বজায় থাকবে আইনের উপর ভিত্তি করে। আইন চলবে
সত্যের পথ ধরে তাহলেই দেশে চিরশান্তি বজায় থাকবে ও দেশের উন্নতি ত্বরাম্বিত হবে।