[বেদ যজ্ঞ করে তোমরা আত্ম উপলব্ধির পথে এগিয়ে চলো।]
১] কেমন করে বাড়ে মানব দেহ তা লক্ষ্য করে
যাও। শিশু থেকে বেড়ে উঠে কিভাবে পরিবর্তনের ঢেউ-এ তোমরা এই দেহ পাও।। উপলব্ধির
শক্তি বেড়েছে কিভাবে সেই জ্ঞান বুদ্ধি নিয়ে গবেষণা চালাও। দেহ- মনে- অঙ্গ –প্রত্যঙ্গে
কিভাবে জোয়ার এলো তা দেখে যাও।।
২] কেমন করে এ পরিবর্তন এলো তা চিন্তা করে
উপলব্ধি করো। আত্মজ্ঞান লাভ করার জন্যই এই গবেষণার পথ ধরো।। জীবনকে নিয়ে গবেষণা না
করলে তোমার অনুভব শক্তি না বাড়বে। এই অনুভব শক্তি না বাড়লে তোমার অন্তর বেদের
আবদ্ধ দুয়ার না খুলবে।।
৩] আত্ম উপলব্ধির পথে যেতেই হবে আত্মজ্ঞান
লাভের তরে। এই পথেই তোমাদের অন্তরের বেদ খুলে যাবে স্বাভাবিক পথ ধরে।। নিজস্ব
জ্ঞান পেয়ে যাবে তোমরা বেদের জোয়ারে গা ভাসিয়ে। নূতন জীবন আসবে তোমার যা ছিল এতদিন
লুকিয়ে।।
৪] বেদের জীবন পেয়ে তোমরা একঘেয়েমি থেকে
মুক্ত হবে। এই জীবনের সব রহস্য জেনে মুক্তির স্বাদ পাবে।। যত অমৃত খেতে থাকবে
বেদের জীবন নিয়ে। ততই অমৃত সাগর থেকে আসবে তোমার দিকে চেয়ে।।
৫] ফুলের সৌন্দর্য ও সৌরভ দেখে ধন্য হবে এই
পথে গিয়ে। আত্মজ্ঞানে ভরপুর হয়ে তখন এগিয়ে যাবে নিজ বেদকে খুলে নিয়ে।। অভাব মুক্ত
জীবন দেখবে কোন ক্লান্তি অবসাদ নাই জীবনে। সবায় তখন তোমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে
অবাক পানে।।