Home » » প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা তার কৃতকর্ম অনুপাতে

প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা তার কৃতকর্ম অনুপাতে



[প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদা তার কৃতকর্ম অনুপাতে]
যেমন কর্ম তেমন ফল। বটগাছে কখনো আমফল কেউ আশা করতে পারে না। প্রত্যেক মানুষ পৃথিবীতে আসে নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি ও শক্তি নিয়ে। যারা সৌভাগ্যবান তারা উন্নত পরিবেশে ও ভালো বংশে জন্ম গ্রহণ করে পূর্ব জন্মের কৃতকর্মের ফল অনুযায়ী এটাই মেনে নিতে হবে সত্য বলে। এই বিশ্বাসকে মেনে নেওয়া ছাড়া মানুষের আর কোনো পথ নেই। অনেকে জন্মান্তরবাদকে বিশ্বাস করেন না। যারা বিশ্বাস করেন না –তারা মহৎ। কারণ তারা এই মানব জন্মকেই সফল করে ঈশ্বরের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরের সাথে যুক্ত হবার শক্তি ও সাহস নিয়েই জন্মগ্রহণ করেছেন। পৃথিবীর বুকে কত জন মানুষ সেই জ্ঞান-শক্তি সাহস ও বিশ্বাস নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন? যারা এই জ্ঞান-শক্তি সাহস বিশ্বাস নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন তারা সকলেই ঈশ্বরের ঘর থেকে প্রেরিত দূত। কোটি কোটি বছর আগে তারাও পৃথিবীতে জন্ম-মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে করতেই ঈশ্বরের ঘরে মর্যাদা বা স্থান পেয়ে চলে গিয়েছিলেন আবার ঈশ্বরের নির্দেশে কিছু কর্মীকে বাছাই করতে পৃথিবীর বুকে আসেন। কর্ম শেষ করে তারা চলে যান। কিন্তূ যে মানুষ জন্মগ্রহণ করে সত্যকে জানলো না তার মুক্তি হতে পারে না পৃথিবীর মাটি থেকে। তাকে বার বার জন্ম-মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতেই হবে কৃতকর্ম অনুপাতে। তারপর যেদিন বাছাই পর্ব শুরু হবে সেদিন বিচার হবে কে কোন মর্যাদার পদে ঈশ্বরের ঘরে বসবে চিরকালের জন্য বা সাময়িক কালের জন্যে। ইহকাল ও পরকালের বিচার কর্তা একজনই । একজনই সকলের অভিভাবক। সে জন্য কারও উপর বিচারে জুলুম চলে না। প্রত্যেক জীব নিজ নিজ কৃতকর্ম অনুপাতে উভয়লোকে মর্যাদা পেয়ে থাকে। পৃথিবীর বুকে এমন একটি মানুষ নেই যে ভালো কাজ করে ভালো ফল পায়নি। এমন একটাও মানুষ নেই যে মন্দ কাজের জন্য ধিক্কার, অভিশাপ ও শাস্তি পায়নি। মানুষ যখন জ্ঞান চক্ষু দ্বারা দেখবে তখন ঈশ্বরের বিচারালয় দেখে হতভম্ব হয়ে যাবে। এখানে কেউ ছাড়া পায় না –সকলকে  কৃতকর্মের ফল ভোগ করতেই হয়।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide