[বেদ যজ্ঞ করে গুপ্তধনের সন্ধান চালাও ও অভাব মুক্ত জীবন ধারণ কর।]
আমি মানুষকে জ্ঞানে ধনী রূপে দেখতে চাই।
পার্থিব সম্পদে ধনী হয়ে মানুষ আমার সান্নিধ্য লাভ করতে পারে না। সুযোগ সন্ধানী
মানুষ শয়তানী বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে অতি সহজে পার্থিব জগতের সম্পদে ধনী হয়ে উঠে। তারা
অপরে তাদের মতো ধনী হয়ে উঠুক এটা চায় না। তাই নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আমি প্রত্যেক মানুষের জন্য গুপ্তধনের
ব্যবস্থা করে রেখেছি এই পৃথিবীর বুকে। মানুষ এই গুপ্তধন জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে
লাগিয়ে খুঁজে নিতে পারলে, অতি সহজে নিজের সাথে সাথে অপরের বেকারত্বকে দূরীভূত করতে
পারে। যারা এই গুপ্তধনের খোঁজ পেয়েছে তারা সকলেই সেখান থেকে বেকারত্ব মোচন করছে ও
সবার মঙ্গলের জন্যে সেই ধন কাজে লাগাচ্ছে। আমি তাদের সাথে সদায় যোগসূত্র রেখে চলেছি ও তাদের হৃদয় মন্দিরে
জাগ্রত হয়ে তাদের নিরাকার করে রেখে – আমিই তাদের হয়ে সর্বপ্রকার মঙ্গলজনক কাজ করে
চলেছি। মানুষকে মনে রাখতে হবে নিজের বেকারত্ব নিজেকেই দূর করতে হবে নিজের জ্ঞান
বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে। যারা নিজস্ব জ্ঞান বুদ্ধিকে কাজে না লাগিয়ে অপরের দোষ দিয়ে
সমালোচনা করে, তারা কোন কাজের উপযুক্ত মানুষ নয়। তাদেরকে কেউ কাজ দিলেও তা তারা
করতে সক্ষম হবে না। তারা আমার গুপ্তধনকে চিরকাল উপহাস করে নিজে উপহাসের পাত্র হয়ে
এখানে বিচরণ করে ও আমার বিভূতি ঐশ্বর্যের ধারে কাছে যেতে পারে না।