Home » » বেদ যজ্ঞ করে গুণ ও কর্মদক্ষতার উপর বিশ্বের সকল মানুষকে ভাগ করে করে ঐক্য- শান্তি- ও সাম্যের জ্ঞানী সুদৃঢ় সমাজ গড়ে তোলো।

বেদ যজ্ঞ করে গুণ ও কর্মদক্ষতার উপর বিশ্বের সকল মানুষকে ভাগ করে করে ঐক্য- শান্তি- ও সাম্যের জ্ঞানী সুদৃঢ় সমাজ গড়ে তোলো।


[ বেদ যজ্ঞ করে গুণ ও কর্মদক্ষতার উপর বিশ্বের সকল মানুষকে ভাগ করে ঐক্য- শান্তি ও সাম্যের জ্ঞানী সুদৃঢ় সমাজ গড়ে তোলো।
আমি গুণ ও কর্মের ভিত্তিতে মানুষকে চারভাগে ভাগ করে সকলের কাজের ব্যবস্থা করে মানব শক্তিকে সর্বদায় মঙ্গলজনক কাজে লাগাবার নির্দেশ দিয়েছি। প্রথম শক্তি হচ্ছে ব্রহ্মণ। যে সমস্ত মানুষ সরাসরি আমার জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরের সাথে যুক্ত থাকার যোগ্যতা অর্জন করে ব্রহ্মজ্ঞানী হয়ে মানব সমাজকে জ্ঞানের পথে চলার উপদেশ দিবে তারাই হবে ব্রহ্মণ ও সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষের গুরু। তারা মানব সমাজের বুকে শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলে মানুষকে সৎকর্মশীল রূপে গড়ে তুলবে কর্ম কৌশল শিক্ষা দিয়ে। সেখান থেকেই বাছাই হবে চার শ্রেণির মানুষ জ্ঞান-বুদ্ধি ও শক্তির বিচার অনুসারে।
  যারা দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত হবে তারা ক্ষত্রিয় ধর্মের অন্তর্ভুক্ত হয়ে দেশবাসীকে নেতৃত্ব দিবে ও দেশকে  উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে ব্রাহ্মণের পরামর্শ নিয়ে। তাদের হাতেই থাকবে দেশের শক্তি ও সম্পদ প্রজাদের সুরক্ষার জন্যে। যাদের জ্ঞান ও বুদ্ধি পার্থিব জগতের সুখ –সম্পদের সাথে যুক্ত তাদের জড়জ্ঞান ও জড়বুদ্ধির পর্যায়ে বাছাই করে দেশের ধন সম্পদ বৃদ্ধির কাজে লাগানোর উপদেশ দিয়েছিলাম এবং তাদেরকে বৈশ্য ধর্ম পালনের মাধ্যমে আমার সাথে যুক্ত থেকে আমাকে জানার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমাকে ঘিরেই তাদের ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার ঘটতো। সবার অন্তর ছিল সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কেউ হীনমন্যতায় ভুগতো না ও নিজেকে দুর্বল ভাবতো না কর্মক্ষেত্রে।
    চতুর্থ শ্রেণীর মানুষ বাছাই করা হতো অন্তরে সত্য- ত্যাগ ও সেবার গুণ দেখে। তাদের শূদ্র ধর্ম পালনের মাধ্যমে কর্ম জগতে কর্ম করার অধিকার দেওয়া হতো। এই চার শ্রেণির মানুষ সকলেই ছিল আমার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বিশ্বাসী।
  একই পরিবারের চারশ্রেণির মানুষ থাকতো মহা আনন্দে নিজ নিজ অধিকার মতো কর্তব্য কর্ম সমাপন করে। কেউ কাউকে অশ্রদ্ধার চোখে দেখতো না।
  ব্রাহ্মণের সন্তান হয়ে যদি ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করতে না পারে তবে তাকে কখনো গুরুর আসনে বা উপদেষ্টার আসনে বসানো হতো না। যে যে গুণের অধিকারী তাকে সেই ধর্ম পালন করে নিজ কর্তব্য পালন করতে হতো।
  প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন বিশেষ গুণের অধিকারী। যে যে গুণের অধিকারী তাকে বাছাই করে সেই কর্মে দক্ষ করে গড়ে তোলার দায়িত্ব রাজাকে নিতে হতো আমার নির্দেশ মতো। তারপর সে প্রশিক্ষণ পেয়ে সৎকর্মশীল দেশের কর্মী হয়ে সংসার ধর্ম পালন করতো। কেউ বেকারত্বের জ্বালায় ভুগতো না ও নিজেকে বেকার ভাবতো না। ধনী হবার প্রতিযোগিতা এই চার শ্রেণীর মধ্যে কারও ছিলনা।
তোমরা সুযোগ সন্ধানী না হয়ে সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টিকারী হয়ে সবাইকে সৎকর্মশীল ও শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তোলার চেষ্টা চালাও নিশ্চয় এই পৃথিবীর কোন দেশে একটাও মানুষ বেকার থাকবে না। তোমরা নেতা হয়ে নিজের বেকারত্ব মোচন করে নিচ্ছো সুযোগ সন্ধানী হয়ে, তারপর আর কারও জন্য সূযোগ সৃষ্টি করছো না, তাহলে তোমাদের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাশীল হয়ে কিভাবে নিজেকে সৎকর্মশীল নাগরিক রূপে গড়ে তুলবে?
  আমার নির্দেশ মতো তোমরা সকলে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে শ্রদ্ধাশীল ও সৎকর্মশীল নাগরিক হয়ে নিজ নিজ দেশের রাজার প্রতি আস্থা স্থাপন কর ও রাজাকে আমার প্রতিনিধি রূপে শ্রদ্ধা করতে শিখো, তাহলে অতি সহজ পথে পৃথিবীর সব দেশে বেকার সমস্যা দূরীভূত হয়ে যায়।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide