[ বেদ যজ্ঞ করে পরমপিতা পরমেশ্বরকে মানব হৃদয় মন্দিরে অবলোকন কর।]
আলো জ্বেলেই অন্ধকারকে দূর করতে হয় তেমনি
জ্ঞান দ্বারাই হৃদয়ের অজ্ঞান মুছে ফেলে পরমজ্ঞানী পরমেশ্বরকে হৃদয় মন্দিরে দেখতে
হয়। এই নিখিল চরাচরের সৃষ্টিকর্তা মহাত্মা অর্থাৎ সর্বশক্তিমান সর্বব্যাপী পরমদেব
পরমেশ্বর সর্বদা মানব হৃদয়ে বিরাজমান। তাঁর গুণাবলী শ্রবণে দ্রবীভূত হলে এবং
বিশুদ্ধ নির্মল হৃদয় দ্বারা, স্থির বুদ্ধিদ্বারা তথা একাগ্র চিত্তে নিরন্তর
ধ্যানদ্বারা তিনি প্রত্যক্ষ হন। এই রহস্য জেনে যে সাধক নিজ হৃদয় মন্দিরে
পরমেশ্বরকে দেখার জন্য তৎপর হয় সে অচিরেই তাঁকে দেখে পরমতৃপ্তি লাভ করে। এই
অবস্থায় সে অমৃতস্বরূপ হয়ে সদায় অমৃত ভক্ষণ করে সেইসাথে চিরতরে জন্ম-মৃত্যুর হাত
থেকে বিমুক্তি লাভ করে।