[বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে নিজেকে সর্বভেদশূন্য ও সমস্ত উপাধি শূন্য করে জ্ঞানী
হও।]
তোমরা যে আত্মার উপর ভর করে দেহ ধারণ করে আছো
সেই জীবাত্মা বস্তুত স্ত্রী- পুরুষ অথবা নপুংসক কিছুই নয়। যে শরীর যখন এই আত্মা
ধারণ করে তখন সেই শরীর সংযুক্ত হয়ে সেই রূপই হয়ে যায় সাময়িক কালের জন্যে। তাই যে জীবাত্মা আজ
স্ত্রী- সেই জীবাত্মাই অন্য জন্মে পুরুষ হতে পারে। আবার যে পুরুষ সে স্ত্রী হতে
পারে। তাই নিজেকে স্ত্রী- পুরুষ অথবা নপুংসক ইত্যাদি ভাবা উচিত হবে না। কোন নাম
ধামের মধ্যেও তাহলে এই আত্মাকে আবদ্ধ করা যাবে না। এই আত্মা সদায় পরমাত্মার সাথে যুক্ত হয়ে
তাঁরই গুণ ও শক্তির স্রোতে প্রবাহিত হয়ে চলেছে ও বিভিন্ন রূপ ও গুণ লাভ করে এবং তাঁর লীলা সঙ্গী হয়ে তাঁরই কর্ম করে চলেছে
বিরামহীন পথ ধরে। এই আত্মার কবে পথ চলা শুরু হয়েছে ও কবে শেষ হবে কেউ জানে না---
তাই এই আত্মাকে মুক্ত পবিত্র সত্তা জেনে তার উপাসক হয়ে জ্ঞানী হও।