[বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও অখিল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পরব্রহ্ম পরমাত্মার ঈশ্বর বা
স্বামী বলে কেউ নেই।]
অখিল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যেদিকেই তোমরা দৃষ্টি
রাখো সেদিকেই তাঁকে দেখতে পাবে। এই ব্রহ্মাণ্ডে পরব্রহ্ম পরমাত্মার স্বামী বা
সৃষ্টিকর্তা কাউকে দেখতে পাবে না। তিনি সর্বান্তরযামী সকলের স্বামী। সকলে তাঁর
দাস, সেবক। তিনি পরম প্রশাসক। তাঁর উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা অন্যের নেই।
তাঁরই শাসনে সকলে চলে। সকলে তাঁর আজ্ঞাবহ। তাঁর নিয়ন্ত্রণে সব নিয়ন্ত্রিত।
পরমেশ্বরের কোন বিশেষ চিহ্ন নেই। তিনি সর্বব্যাপক, বিভু, নিরাকার, পরিপূর্ণ, অখিল
বিশ্বের একমাত্র কারণ, এমনকি কারণেরও কারণ এবং সকল অন্তকরণ ও ইন্দ্রিয়গণের অধিষ্ঠাতা
দেবতাগণেরও অধিপতি, সুশাসক। তাঁকে কোনো চিহ্ন দ্বারা বোঝা যায় না। ওই পরব্রহ্ম
পরমাত্মার কোন জনক অর্থাৎ জন্মদাতা পিতা অথবা কোন অধিপতি নেই। পরমাত্মা পরব্রহ্ম
সর্বতন্ত্র স্বতন্ত্র, ষড়ভাবাধিকার রহিত, সনাতন এবং সর্বশক্তিমান। এই কলিযুগের শেষ
লগ্নে এস আমরা সত্যের প্রতিষ্ঠা করার জন্যে বেদ যজ্ঞ করে আমাদের অন্তরে সেই
পরব্রহ্ম পরমাত্মাকে জাগ্রত করি--- এস আমরা ঘোর কলি থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করে এক
সত্যে প্রতিষ্ঠিত করি। এসো আমরা বেদ যজ্ঞের দ্বারা কলির অন্ধকার মুছে ফেলে সত্য
যুগের প্রতিষ্ঠা করি।