[ বেদ যজ্ঞ করে আমাকে জেনে নাও বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে।]
তোমাদের সংগ্রামে জয়ী হবার সহজ পথ, তোমরা
আগে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে নিজেকে জেনে আমাকে জেনে নাও ও আমার সাথে যুক্ত
হয়ে যাও। তারপর সংগ্রাম করতে থাকো কেবল আমাকে লাভ করার জন্যে। এই সংগ্রামের মাধ্যম
দিয়ে তোমাদের পার্থিব জীবনের উন্নতির সাথে সাথে আত্মিক জীবনের উন্নতি ঘটতে থাকবে।
জড়জ্ঞান ও আত্মিক জ্ঞান লাভ করে তোমাদের জীবন অমৃতময় হয়ে উঠবে। পার্থিব জীবনের সুখ
ভোগের সাথে সাথে এগিয়ে যাবে আমার জ্ঞান বিজ্ঞানের ঘরের দিকে। যথাসময়ে আমি হাত ধরে
তুলে নিয়ে যাবো—তোমাদের আমার জ্ঞান- বিজ্ঞানের ঘরে।
আমি
যে প্রতিশ্রুতি দিই তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। তোমরাও তোমাদের জীবনের উন্নতির
জন্যে নিজের প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন কর বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে—দেখবে
কত সহজ পথ পেয়ে যাবে সবার উন্নতি ঘটাবার জন্যে। ছোট ছোট দায়িত্ব নিয়ে, সেই দায়িত্ব
প্রথমে প্রতিশ্রুতি মতো পালন কর, তবে তো বড় দায়িত্ব পাবে আমার কাছ থেকে—তা না হলে
সারা জীবন দায়িত্ব জ্ঞানহীন অমানুষ হয়ে থেকে যাবে।
তোমাদের জীবনের উন্নতি আমার বিশ্বমানব শিক্ষার মধ্যে আবদ্ধ আছে। সারা
বিশ্বে তোমাদেরকেই বিশ্বমানব শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে নিজেদের জীবনের উন্নতি
ঘটানোর জন্যে। তোমরা নিজের রাজ মনের দুয়ার খুলে দাও। মানুষকে সৎ ও কল্যাণের পথে
ডাক দাও। তাহলেই দেখবে তোমরা সৎকর্মশীল মানুষ হয়ে সকলের চোখে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে
উঠেছ। তারাই তোমাদের জীবনকে উন্নত ধারাই প্রবাহিত করবে। তোমরা নিজের জীবনের
উন্নতির জন্য আমার নিকট প্রার্থনার মাধ্যমে সাহায্য চাও। কিন্তু অন্য কারও দান
গ্রহণ কর না। জীবনে উন্নতি করার জন্য নিজের জ্ঞান, বুদ্ধি ও শক্তির উপর নির্ভর কর।
যদি তোমরা কারও দান গ্রহণ কর, তবে ভিখারী হয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে আর আমার জ্ঞান
বিজ্ঞানের ঘরের সাথে যুক্ত হয়ে মুক্ত জ্ঞানী সত্তা হয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবে
না। বিশ্বমানব শিক্ষার প্রচার ও প্রসার কল্পে আমি কোটি কোটি বছর ধরে ধন সম্পদ এই
পৃথিবীর বুকে গচ্ছিত রেখেছি আমার মনোনীত বান্দাদের কাছে, যথা সময়ে তারা সেই গচ্ছিত
ধন সম্পদ আমার নির্দেশে বিশ্বমানব শিক্ষার মঞ্চে ব্যয় করবে। তাই তোমাদেরকে
বিশ্বমানব শিক্ষার জন্যে অর্থ সম্পদ কোথা থেকে আসবে সে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
বিশ্বের সব দেশের জ্ঞানীগুণী মহান দেশ নেতারা এগিয়ে আসবে যথাসময়ে আমার
নির্দেশে এই মঞ্চে বিশ্ববাসীকে একসুত্রে গেঁথে তুলে সবার জীবনকে উন্নত পর্যায়ে গড়ে
তোলার জন্যে। মনে রাখবে আমার অধীনে সবাই কিন্তু আমি কারো অধীনে নই। আমি যেমন দান
করতে পারি তেমনি যে কোন মুহূর্তে সবকিছু কেড়ে নিয়ে শাস্তি দিতে পারি।
তোমাদের জীবনের উন্নতির পথ তখনি খুলে দেওয়া হবে যখন তোমরা নিজের জীবনের
উন্নতির ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে দেশের ও দশের উন্নতির কথা ভেবে মাঠে নেমে পড়বে।
নিজেকে চাহিদা ও বাসনা শূন্য পবিত্র বিশ্বমানব শিক্ষার উপযুক্ত কর্মী রূপে গড়ে
তুলবে নিজেকে জেনে ও আমাকে জেনে। ভাবনা মুক্ত হয়ে আমার প্রতি বিশ্বাসী ও আস্থাশীল
হও; আমি তোমার সব দায়িত্ব নিব ও আমার প্রতিশ্রুতি আমি পালন করবো – তোমার
প্রতিশ্রুতি তুমি পালন কর।