[বেদ যজ্ঞ করে পরকালকে জানার সহজ পথ জেনে নাও।]
তোমাদের যখন জন্ম আছে তখন তোমাদের মৃত্যু
আছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তোমরা এই পার্থিব জগতে সকলের জন্ম-মৃত্যু দেখে
চলেছো চোখ দিয়ে, তাই বিশ্বাস করছো। কিন্তু তোমাদের দেহ বিনাশের পর কি গতি হচ্ছে,
তা কেউ দেখতে পাচ্ছো না। তোমরা ভাবছো মৃত্যুর পর সবাই স্বর্গে অথবা নরকে চলে
যাচ্ছে। তোমাদের ধারণা বাস্তব সত্য নয়। এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ড কেবল স্বর্গ নরক
পৃথিবী নিয়ে নয়। এই ব্রহ্মাণ্ডে কত মনোরম স্থান আমি সৃষ্টি করে রেখেছি, তোমাদের
পুরষ্কার স্বরূপ দেওয়ার জন্য তা ভাবতে এখন পারছো না এই পার্থিব দেহধারী সত্তা হয়ে।
তোমরা মৃত্যুর পরে কোথায় যাবে, এই চিন্তায় সদা বিভোর হয়ে থাকো, দেখবে কিছুদিনের
মধ্যে তোমরা দেহ থেকে মুক্ত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে অন্যলোকে ভ্রমণের কৌশল পেয়ে যাবে
জ্ঞানচক্ষুর সাহায্যে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ভ্রমণ করে দেখে নিতে পারবে ব্রহ্মাণ্ডের
অনেক মনোরম স্থান। পার্থিব দেহ ও পার্থিব জগতের চিন্তা তোমাদের আবদ্ধ করে রেখেছে
অন্ধকার কবরে, তাই তোমরা সেই কবর থেকে উঠে তোমাদের জ্যোতির্ময় চিন্ময় দেহ নিয়ে উড়ে
যেতে পারছো না এই পৃথিবী ছেড়ে অন্যলোকে। বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে অভ্যাস কর
দেহ ছেড়ে ও পার্থিব জগতের চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে আগে থেকেই অন্যলোকে ভ্রমণ করার,
নিশ্চয় সফল হবে পরকালকে আগে থেকেই জানতে। মৃত্যুর আগে যদি নিজের বাসস্থান তৈরী করে
নিতে পারো, তবে তো তোমরা সফল হবে ও অমরত্ব লাভ করবে। এই পৃথিবীতে বাড়ী, ঘর,
জমি-জায়গা, সম্পদ সঞ্চয় করে সবকিছু তোমাদের ছেড়ে যেতে হবে, এগুলি তোমাদের কোন কাজে
লাগবে না সেই লোকে। আমি এমনভাবে এই ব্রহ্মাণ্ডের বুকে গ্রহ- নক্ষত্রগুলি সাজিয়ে
রেখেছি তোমরা ইচ্ছে করলে যেখানে খুশী যেতে পারবে কিন্তু কোনকিছু নিয়ে যেতে পারবে
না নিজের জ্ঞান ছাড়া। সেখানে গিয়ে আবার তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে সেখানকার সম্পদ
নিজের করে সাজিয়ে নিতে পারবে।