[জ্ঞান লাভের
জন্যে বিশ্বের যেখানে যেতে হবে যাও]
সত্যকে জানার জন্যে বিশ্বের যে ব্যক্তির কাছে
যে্তে হবে যাও। সত্যকে জানলেই তোমার মুক্তি। সত্যকে না জানা পর্যন্ত থামবে না। যদি
থেমে যাও, তবে সেখানেই তোমার মৃত্যু হবে। তোমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ
করার পরে আর জ্ঞানের রাজত্বে পা রাখো না। কর্ম জগতে প্রবেশ করে কেবল সংসারের সুখের
জন্যে ভুতের ব্যাগার খাটো। তোমাদের শিক্ষার মুল্য সেখানেই শেষ হয়ে যায়। তোমরা যদি
এই স্বভাব পরিবর্তন করে সারাজীবন জ্ঞানের জগতে পরিভ্রমণের প্রতিজ্ঞা করো, তবে
দেখবে তোমাদের জীবনধারার পরিবর্তন ঘটবে প্রতি পদে পদে। নিত্য নূতন জীবনের স্বাদ
পাবে এই জগতে। সারা বিশ্ব ভ্রমণ করতে পারবে বিশ্বমানব শিক্ষার সূত্র নিয়ে। বিশ্বের
এমন কোনো দেশের মানুষ নেই যে বিশ্বমা নব শিক্ষাকে মেনে নেবে না। সকলেই মানতে বাধ্য
হবে বিশ্বমানব শিক্ষাকে মন থেকে—অন্তর থেকে কিন্তূ সকলে এগিয়ে আসতে পারবে না এই
সত্যকে প্রতিষ্ঠার জন্যে। ঈশ্বরের মঞ্চে কাজ করার জন্য ঈশ্বর মনোনীত ব্যক্তিরাই
এগিয়ে আসেন। তাই এই মঞ্চে এগিয়ে আসবেন তারাই যারা মুক্ত পুরুষ এবং এই মঞ্চে কাজ
করার জন্য এই পৃথিবীতে উৎপন্ন হয়েছেন। শেষ নবি হজরত মহম্মদ মানব জাতিকে সৎ ও
কল্যাণের পথে ডাক দিয়ে বলেছিলেন তোমরা জ্ঞান লাভের জন্য যে দেশে যেতে হয় যাও,
সুদূর চিনে যেতে হলেও যাও। এই কথার অর্থ জ্ঞান লাভ তারাই করতে পারে যারা জ্ঞান
ফেরি করতে জানে দেশে দেশে। জ্ঞান দান না করলে কারো জ্ঞান লাভ হয় না। তুমি শাস্ত্র
গ্রন্থ পাঠ করে জ্ঞানী হবে তখনি যখন তুমি সেই শাস্ত্রের বাণী মান্য করে সৎ ও
সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে—জনকল্যাণে সেই জ্ঞান সর্বত্র দান করবে। তোমরা সত্যকে
তখনি জানতে পারবে যখন জ্ঞানের মঞ্চ গড়ে আন্দোলন শুরু করবে বিশ্বব্যাপী মানব সমাজে
বিপ্লব ঘটানোর জন্যে। ভালো মানুষ সেজে লাইব্রেরী থেকে দু-চারটা বই পড়ে কেউ জ্ঞানী
হতে পারে না—সত্যকে জানতে পারে না। জ্ঞানী হবার জন্য জ্ঞান দান করতে হয় সৎ ও
সত্যের মঞ্চে দাঁড়িয়ে।