বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—১১/ ০৯/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে সাধুদের লক্ষণযুক্ত ও গুণসম্পন্ন
সহজ – সরল মানুষ হয়ে এই ধরার বুকে বিচরণ কর।]
বেদ যজ্ঞকালে ভগবান শ্রীরামচন্দ্র
বিজ্ঞান-বিশারদ, ভবভয়ভঞ্জন, সর্বজ্ঞ ও অন্তর্যামী হয়ে সাধু- মহাত্মাদের অন্তরে
বিরাজ করেন তা তিনি নিজে নারদমুনির নিকট প্রকাশ করলেন। তারপর তিনি সাধু-মহাত্মাদের
লক্ষণসকল ও গুণের বর্ণনা দিতে গিয়ে নারদমুনিকে বলেন--- সাধু- মহাত্মাগণ নিজ প্রশংসা
শ্রবণে সদায় সংকোচ বোধ করেন। আবার যখন অপরের গুণকীর্তন শ্রবণ করেন তখন আনন্দে নেচে
উঠেন। তাঁরা সদায় সমদৃষ্টিসম্পন্ন ও শান্তপ্রকৃতির হয়ে থাকেন। তাঁরা কখনো ন্যায়-
নীতি ও আদর্শকে পরিত্যাগ করেন না। তাঁরা জপ, তপস্যা, ব্রত, ইন্দ্রিয়দমন, সংযম ও
নিয়মসমূহ পালনে নিত্যযুক্ত থাকেন। গুরু, গোবিন্দ ও ব্রাহ্মণ চরণে তাঁদের বিশেষ প্রেম- প্রীতি থাকে। তাঁদের
মধ্যে শ্রদ্ধা, ক্ষমা, মৈত্রী, দয়া, সন্তোষ থাকে এবং আমার চরণে বিশেষ কাপট্যরহিত
সতত প্রীতি থাকে। আর থাকে বিবেক বৈরাগ্য, বিজ্ঞান (পরমাত্মতত্ত্বজ্ঞান) ও
বেদপুরাণের যথার্থ জ্ঞান। তাঁরা দম্ভ,
অভিমান ও মদকে কাছে আসতে দেন না আর ভুলেও কুপথগামী হন না। তাঁরা আমার লীলাসকল
শ্রবণ –কীর্তনে নিত্যযুক্ত থাকেন আর নিঃস্বার্থভাবে অপরের উপকার করে থাকেন। তাঁরা
সর্বগুণের আধারস্বরূপ হয়ে থাকেন। তাঁদের সংসার দুঃখ থাকে না। তাঁরা সকলেই মুক্তমনা
ও সন্দেহমুক্ত জ্ঞান- বুদ্ধির অধিকারী হয়ে থাকেন। আমার শরণাগত হওয়াই তাঁদের
একমাত্র অন্তরের কামনা, তাই তাঁদের দেহ ও সংসারে কোনো প্রীতি থাকে না। হে মুনি;
শোনো। সাধুদের গুণসকল এতই বেশী যে তা সরস্বতী ও বেদের পক্ষেও বলে শেষ করা সম্ভব হয়
না। জয় শ্রীরাম