Home »
» বেদ যজ্ঞ সম্মেলন ২৮/ ০৫/ ২০১৬
বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—২৮/ ০৫/ ২০১৬
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ- [ বেদ যজ্ঞ করে তুমি তোমার ঈশ্বরকে যে রূপে দেখতে চাইবে তুমি তাঁকে সেই
রূপেই দেখতে পাবে কারণ তাঁর রূপ- গুণ- রঙের শেষ নাই। আর যাদের ঈশ্বরের রূপের প্রতি বিশ্বাস নাই তারা কিভাবে তাঁকে দেখার জন্যে বা তাঁর
আনুগত্য লাভের জন্যে আশা করতে পারে।]
বেদ যজ্ঞ না
করলে কিভাবে বেদ ভগবানকে দেখবে? বেদ ভগবানের রূপই হলো বিশ্বরূপ। যাদের বেদ যজ্ঞ
করার প্রতি বিশ্বাস নাই তাঁদের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা বা সেতু বন্ধন
করা খুব কঠিন কাজ। অনেকের বিশ্বাস ঈশ্বর নিরাকার তাঁর কোন রূপ নাই।
যদি তাঁর রূপ না থাকে তবে তিনি কিভাবে সকলকে রূপ দান করতে পারেন? পিতা- মাতার চেতন
শক্তি ও তাদের রূপ বা আকার তাদের সন্তানের রূপ বা আকার দান করে।তাই মানব আত্মার
রূপ তাদের সন্তান সন্ততি। এক চেতন শক্তি বা আত্মা সর্বভূতে কাজ করে চলেছে—অতএব
তিনি সর্বভূতে চেতন শক্তি বা আত্মা রূপে বিরাজ করছেন। তাই এই শক্তির সমস্ত রূপই তাঁর। এই সত্যকে অস্বীকার যারা করে- তাঁরা
কখনো তাঁকে ভালবাসতে বা শ্রদ্ধা করতে পারেনা। ঈশ্বরকে তৈরি করার কোন প্রয়োজন পড়ে
না—তিনি অজন্মা এমন এক পবিত্র শক্তি যার আদি ও অন্ত নাই। তাই সব রূপেই তিনি
বিরাজমান হয়ে সবায়কে নিজের অধীনে
রেখেছেন। আমরা যা চোখে দেখছি সবই তাঁর চেতন বা অবচেতন রূপ। তাই এই ব্রহ্মাণ্ডের
এমন ছুঁচ পরিমান জায়গা পাওয়া যাবেনা যেখানে তাঁর রূপের প্রকাশ বা বিকাশ নাই। আমরা
বাতাসে জল আছে তা দেখতে পায়না—যখন সেই বাতাসকে ঠাণ্ডা করা হয় তখন আমরা জলের রূপ
দেখতে পায়। তেমনি পিতার মধ্যে পুত্র আছে তা দেখা যায়না—কিন্তু তা আছে সেটা সবায়
জানে। তেমনি সর্বভূতের মধ্যে ঈশ্বরের রূপ আছে সবায় জানে—এই সত্যকে জানার জন্যেও
তাঁকেই প্রেম করতে হয়—তাঁর সাথে এক না হলে কিভাবে তাঁর রূপের আবির্ভাব ঘটবে—ও
তাঁকে দেখতে পাওয়া যাবে। তাই মানুষ তাঁকে যে রূপে কল্পনা করবে তাঁকে সেই রূপেই
রাঙিয়ে দেখতে পাবে। ঈশ্বরের রঙ হচ্ছে সর্ব উৎকৃষ্ট রঙ তাই তাঁর রঙে মানুষ নিজেকে রাঙাতে গিয়েই তো মূর্তি পূজার প্রচলন চলে আসছে কতকাল ধরে
মানব সমাজে এবং সেই রূপকে
মানুষ অন্তরে ধারণ করেই সিদ্ধি লাভ করছে ও তাঁর সান্নিধ্য লাভ করে নিজেকে ধন্য
করছে। তাই ঈশ্বরের মূর্তি ভাঙ্গা নয় তাঁর মূর্তি গড়ায় হচ্ছে তাঁর সাধনা –আরাধনা-
পূজা ও প্রার্থনা। জয় বেদ ভগবানের জয়।
Facebook CommentsShowHide