বেদ যজ্ঞ সম্মেলন== ২৩/০৪/২০১৬
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ ======= [ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে যা সত্য সঠিক নির্ভুল সেই পথ প্রতিবেশীকে দেখাও]
বেদ
যজ্ঞ করবে সদায় সত্যমুখী হয়ে নির্ভয়ে। এই পবিত্র বেদ যজ্ঞ করতে বসে যা জানো না তা প্রতিবেশীকে বলবে না। যা সত্য, সঠিক নির্ভুল ভাবে জেনেছো তা
জেনে বুঝে, ঘরে বসে থেকো না—প্রতিবেশীকে
সেই সত্য জানাও। সত্যকে জেনে প্রতিবেশীকে অন্ধকারে রাখার মতো পাপ দ্বিতীয় নেই।
তোমার সত্য রূপ ফুটে উঠবে তখনি যখন তুমি সত্য প্রকাশ করবে প্রতিবেশীকে সেই বেদের আলো দিয়ে সংঘবদ্ধ করে। তোমরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক সত্য তত্ত্ব পাও
কিন্তু সেগুলি কোনো কাজে লাগাও না—এটাই হচ্ছে তোমাদের সব থেকে বড়ো দুর্বলতা ও পাপ।
যদি তোমরা সেগুলি কাজে লাগাতে, তাহলে পৃথিবীর বুকে অসত্য মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠতে
পারতো না। তোমরা তোমাদের প্রতিষ্ঠানে
যে শিক্ষা পাও—তা যদি প্রতিবেশীকে দান করো—তবে তোমাদের জ্ঞান কমবে না—প্রতিনিয়ত
বাড়তে থাকবে। তোমরা যুবশক্তির অবক্ষয় রোধ করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজে নেমে পড়ো।
নোংরা রাজনীতির খেলা বন্ধ করে সমাজ সেবায় নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করো। মানুষকে সৎ ও
কল্যাণের পথ দেখাও। মানুষকে সচেতন করো সত্যজ্ঞান দান করে। নিজেরা ঈশ্বরের
জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরের সাথে যুক্ত হয়ে জ্ঞানী হয়ে ওঠো ও সেই জ্ঞান প্রতিবেশীকে দান
করে সুদৃঢ় জ্ঞানী সমাজ গড়ে তোলো। নিজেদেরকে সৎ-সত্য-সুন্দর
ও জ্যোতির্ময় রূপে গড়ে তোলো—সেই সাথে প্রতিবেশীর জীবন গড়ে তুলতে সমস্ত প্রকার
সাহায্য –সহযোগিতা করো। অজ্ঞ-পাপী –তাপীরা অমৃতের সন্তান হয়েও তোমাদের জন্য
পথ চেয়ে বসে আছে—কবে তোমরা তাদের কাছে যাবে প্রকৃত সত্য পথ দেখাতে সে জন্যে। তোমরা
তাদের কাছে বর্তমানে যাচ্ছো—ভোট চাইতে মিথ্যা কথা বলে। এই পথে মানুষকে পথভ্রষ্ট
করা যায়—বিপদে ফেলা যায়—কিন্তু মঙ্গল করা যায় না। ভেবে দেখো এই পথে গিয়ে কিভাবে তোমরা নিজেদের
চরিত্রকে কালিমা লিপ্ত করছো, সেই সাথে এক চরিত্রহীন সমাজ দেশবাসীকে উপহার দেওয়ার
জন্যে নিজের মুল্যবান জীবন উৎসর্গ করছো, মিথ্যাচারী- কদাচারী- পাপী- ধর্ষণকারী –দেশদ্রোহী
নেতাদের পাশে থেকে তাদেরকে মানুষের সামনে মহান করে তুলে ধরার জন্যে। মনে রেখো
পাপীর সাথে থাকলে পাপ তোমাদের দিনদিন বাড়তেই থাকবে তাই এই পথ থেকে মুক্ত হয়ে
সত্যমুখী হও ও বেদ যজ্ঞ করে যা চিরন্তন সত্য ও কল্যাণমুখী তার জন্যেই নিজের জীবন
উৎসর্গ করার সঙ্কল্প গ্রহণ করো। বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তোমরা সেই পথ
থেকে সরে এসো—তোমরা বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে মানুষকে সত্য জ্ঞান দান করার জন্য
সংকল্প গ্রহণ করো ও দেশপ্রেমিক হয়ে নিজেদের জীবন সার্থক করে তোলো। একটু চিন্তা করে
দেখো—যখনি তোমরা নিজেকে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী ভাববে তখনি তোমাদের অন্তর থেকে সব
গণ্ডী ও সংকীর্ণতা দূরীভূত হবে ও তোমার জ্ঞান ও শক্তি সূর্যের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে
দেখা দিবে স্বাভাবিক নিয়মে। এর জন্য তোমাদেরকে ধ্যান, জপ, তপস্যা কিছুই করতে হবে
না – কেবল চিন্তাধারাটাকে বিপরীত স্রোতের সাথে যুক্ত করে নাও। দেখবে প্রতিনিয়ত
তোমাদের অন্তরে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটতে থাকবে—ইচ্ছা শক্তি, কর্ম শক্তি ও জ্ঞান শক্তির
সমন্বয় সাধন দ্বারা। তখন আর বাড়ীতে বসে মুহূর্ত মাত্র সময় নষ্ট করতে পারবে না।
এটাই হচ্ছে তোমাদের জীবনে সাফল্যের পবিত্র ও মহৎ পথ। জয় বিশ্বমানব শিক্ষার জয়। জয় বেদ ভগবানের জয়।।