[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে আগে নিজের
দিব্য স্বরূপকে জেনে আনন্দময় জগতে অবস্থান করো।]
যারা বেদ যজ্ঞ করতে জানেন না তারা নিজের
জ্ঞান-বুদ্ধি- শক্তিকে কাজে লাগাতে পারেন না, তারা পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে জীবন
কাটায়। অনেকে সারাটা জীবন পরের জীবনকে ধরে বেঁচে থাকে- নিজের জীবনের স্বাদ গ্রহণ
করতেই পারেন না। তাই তারা নিজের মধ্যেই যে ভগবানের সত্তা বিরাজ করছেন সেটা বিশ্বাস
করতেই পারেন না। তাই আমরা সমাজের বুকে সর্বক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি এক বিশৃঙ্খল
অবস্থা। এই অবস্থা থেকে মানুষকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করার উপায় স্বরূপ বেদ যজ্ঞের
মাধ্যমে আমাদের দিব্য স্বরূপের জাগরণ ঘটানোর উপায় বের করতেই হবে।
আমাদের দিব্য স্বরূপকে আমরা আজ ভুলে গেছি বলেই সব কিছুতেই গড়মিল দেখছি। জ্ঞান
ও বুঝের চর্চা করে সংস্কারকে কাটিয়ে উঠতে পারলেই সবাই বুঝতে পারবে ভগবানের
ভগবত-সত্তা।বিরাটের সেই বিরাটত্ব নিয়েই সবাই সৃষ্টি। তাই নিজেকে জানলেই সেই
বিরাটকে জানা যাবে এবং বুঝতে পারা যাবে যে, চিরজাগ্রত শক্তি বা সত্তা হতে সবাই
এসেছে। বিরাটের সেই বিরাট শক্তি সবার ভেতরেই পূর্ণমাত্রাই সহজাতভাবে রয়েছে। যাকে
জানা নেই তার উপর নির্ভর করছি বলেই কিন্তূ আমাদের শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে
না। পরনির্ভরশীল ব্যক্তির কোনদিন সুখ-শান্তি-জ্ঞান আসতে পারে না।তাই আত্মনির্ভরশীল
হয়ে কোন সংস্কারের বেড়াজালে না পড়ে বাস্তব বুদ্ধির দ্বারা বিশ্বরহস্য বুঝতে চেষ্টা
করতে হবে। প্রকৃতির রহস্যকে জানতে হবে। এর জন্য কারো উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের
প্রতি আস্থা অর্জন করে তন্ন তন্ন করে নিজেকেই বিশ্লেষণ করতে হবে।নিজের ভিতরে যিনি
আছেন তাকেই ধ্যান করতে হবে এবং তার সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করতে হবে। আলাদা করে
কাউকে ডাকতেও হবে না। কারও পূজা না উপাসনাও করতে হবে না। কেবল বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে মানুষকে এক সত্যের ঘরে সঙ্ঘবদ্ধ করার ব্যবস্থা
করতে হবে সকলকে এগিয়ে এসে। এটাই মানুষের পবিত্র কর্তব্য কর্মরূপে যুগ যুগ ধরে চলে
আসছে সনাতন ধর্ম ও ঐতিহ্যকে মান্য করে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।