[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও প্রত্যেক মানুষের
জীবন সংগীত এক, তাই সকলেই অমৃতের সন্তান।]
মানুষের জীবন
সংগীত নিয়ে গবেষণা শুরু করো বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে তাহলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে
তোমাদের জীবনে। প্রত্যেক মানুষ লাভে আনন্দ, লোকসানে দুঃখ পায়। প্রত্যেক মানুষকে
রোগ-শোক- দুঃখ –কষ্টের মধ্যে পড়তেই হয়। শীত- গ্রীষ্ম সকলের জীবনে প্রভাব বিস্তার
করে একই ভাবে। এমন কোনো মানুষ নেই যে ক্ষুধা- তৃষ্ণা অনুভব করে না। এমন কোনো মানুষ
নেই যার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা নেই। তাই বলা যায়, প্রত্যেক মানুষের জীবন সংগীত এক সুরে
বাঁধা। তুমি যদি নিজেকে জানতে পারো তবে নিজের জীবন সংগীতও জানতে পারবে। তখন দেখতে
পাবে প্রত্যেক মানুষের জীবন সংগীত এক সুরে গাঁথা। কেউ তোমার থেকে আলাদা নয়। তোমরা
বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছাশক্তি, ক্রিয়াশক্তি ও জ্ঞানশক্তির সাথে
নিজের ইচ্ছাশক্তি, ক্রিয়াশক্তি ও জ্ঞানশক্তিকে মিলিত করে এক সুরে এসো, তারপর জীবন
সঙ্গীত রচনা করতে শুরু করো দেখবে এক ছাড়া আর দ্বিতীয় খুঁজে পাবে না। সপ্ত সুরে
গাঁথা জীবনের সুর এক হারমোনিয়ামে এমন সুক্ষ ভাবে ধরা হয়েছে—তা জেনে হতভম্ব হয়ে
যাবে। মহাবিজ্ঞানীর এই কাজ এত সুক্ষ যে সুরের জগতে না গেলে তা উপলব্ধি করা যায় না।
অনেক সাধক-বিজ্ঞানী সারা জীবন ধরে এক সুর ও তান নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন ও পরিশেষে
সবকিছু তাঁর চরণে সমর্পণ করে মুক্ত হয়েছেন। এক সত্য ছাড়া দ্বিতীয় কোথাও নেই – এক
প্রাণ থেকেই উৎপন্ন এ জগৎ। তাই প্রাণের সঙ্গীত এক—জীবনের সংগীত এক ছাড়া দ্বিতীয়
কোথায়? দ্বিতীয়ের উপাসনা বা খোঁজ করতে গিয়েই মানুষ মায়া ও মোহ বিজ্ঞান দ্বারা
আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এককে বহুরূপে দেখার গবেষণা শুরু হয়- এক জীবন সংগীত বহুরূপে
প্রকাশ পেতে থাকে। কিন্তু মূলকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু সৃষ্টি বা রচনা সম্ভব নয়।
পরিশেষে সমস্ত সংগীত এক হয়ে কেবল এক স্রষ্টার প্রশংসা করেই চলেছে। যত রূপেই জীবন
সংগীত তোমাদের রচিত হোক না কেনো এক মহাসাগরে গিয়ে তারা মিলিত হবে। হরি ওঁ তৎ সৎ।