Home » » বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও ঈশ্বর সবার গ্রহণ যোগ্য তাই তাঁর বাক্যও সবার গ্রহণ যোগ্য, যে বাক্য সবার গ্রহণযোগ্যতা রাখে না তা ঈশ্বরের বাক্য হতে পারে না ।

বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও ঈশ্বর সবার গ্রহণ যোগ্য তাই তাঁর বাক্যও সবার গ্রহণ যোগ্য, যে বাক্য সবার গ্রহণযোগ্যতা রাখে না তা ঈশ্বরের বাক্য হতে পারে না ।

[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও ঈশ্বর সবার গ্রহণ যোগ্য তাই তাঁর বাক্যও সবার গ্রহণ যোগ্য, যে বাক্য সবার গ্রহণযোগ্যতা রাখেনা তা ঈশ্বরের বাক্য হতে পারে না।]
 এই পৃথিবীতে মানুষের জন্যে ধর্ম ও ধর্মশাস্ত্রের অভাব নেই। সব ধর্মের মানুষ নিজের নিজের শাস্ত্র গ্রন্থকে ঈশ্বরের বাক্য বলে মনে করেন ও তা পালন করার চেষ্টা চালান। এই চেষ্টা চালাতে গিয়েই তখন মানুষের বিবেক জাগ্রত হতে থাকে এবং সেই শাস্ত্র বাক্যগুলি সকলের গ্রহণযোগ্য কিনা তা ধরা পড়ে। মানুষের জীবন অতি সহজ সরল তাই তাঁদের শাস্ত্রগ্রন্থও খুব সহজ সরল। এই সহজ সরল শাস্ত্রগ্রন্থকে জটিল করে তোলেন সমাজের বুকে পণ্ডিত ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থে। ঈশ্বর কর্তৃক যে বাক্য মানবজাতির মঙ্গলের জন্যে ছিল তা এখনো অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে ও থাকবে। তাঁর বিধানকে লঙ্ঘন করার সাধ্য কারো নেই এটাই মানুষের সনাতন ধর্ম। কেউ নিজের হৃদয় মন্দির ক্ষেত্রে বিষবৃক্ষ রোপণ করলে সেই মন্দিরের সারা স্থান জুড়ে সেই বৃক্ষের ফল পড়ে বিষবৃক্ষের জঙ্গল তৈরী করবে। সেই বনে যে ভ্রমণ করতে যাবে সেই আক্রান্ত হবে বিষের দ্বারা। আর যারা নিজেকে ঈশ্বরের মন্দির জেনে সেই মন্দির প্রাঙ্গণে কেবল অমৃতের বৃক্ষ রোপণ করে, সেই মন্দির প্রাঙ্গণ অমৃতবৃক্ষের বনে পরিণত হয়। এই বন থেকেই সৃষ্টি হয় বেদগ্রন্থ মানব কল্যাণের জন্যে। আর এই প্রাঙ্গণ হয়ে উঠে সকল মানবের তীর্থস্থান। মানব জীবনকে জটিল করে তোলে মানব সৃষ্ট ধর্ম ও সেই ধর্মের শাস্ত্রগ্রন্থ। প্রত্যেক মানুষ এই পৃথিবীর বুকে নিজের ধর্ম ও সেই ধর্মের শাস্ত্র নিয়েই অবতীর্ণ হয়। তাই বাইরের জগতের কোন ধর্ম ও সেই ধর্মের কোন শাস্ত্রগ্রন্থ তাঁকে কোন জ্ঞানদান করতে পারে না। কেবল সেগুলো তাকে একটা সংকীর্ণ সংস্কারে আবদ্ধ করতে পারে মাত্র। তাই যে সব বুদ্ধিমান মানুষ সংকীর্ণতা থেকে মুক্ত হবার জন্যে ঐসব শাস্ত্রগ্রন্থ পাঠ করেন তাঁরাই কেবল নিজের হৃদয় মন্দিরকে সবার তীর্থস্থানে পরিণত করতে পারেন ও সেই তীর্থক্ষেত্রে ঈশ্বরকে ও তাঁর বেদকে সবার মঙ্গলের জন্যে উন্মুক্ত করে ধরে রাখতে পারেন। ঈশ্বর সবার জন্যেই সমান। তাই তিনি সবার ধর্ম ও শাস্ত্রগ্রন্থ হৃদয় মন্দিরে স্থাপন করে দিয়েই সৃষ্টি করেন। প্রত্যেক জীব তার হৃদয়বেদ পাঠ করেই জ্ঞান- বুদ্ধি- বিবেক- শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজের আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করে চলেছে সৃষ্টির প্রারম্ভকাল থেকে, এই বিধানকে অস্বীকার করার কারো উপায় নায়। মানব জাতি এই হৃদয় বেদ উন্মোচন করেই নিজ নিজ গোষ্ঠীর আত্মরক্ষার জন্যে শাস্ত্রবাক্যের অবতারণা করে চলেছেন যুগের নিয়ম ধরে। পরিপূর্ণ ভাবে হৃদয়বেদ উন্মোচন না হলে সকল মানুষের মঙ্গলের জন্যে বাক্যের ধারা সেই সাগর থেকে প্রবাহিত হয় না, তাই সেই সব বাক্যের ধারা সবার গ্রহণযোগ্যও হবে না ও তা সত্য বলে বিবেচিতও হতে পারে না সকলের কাছে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide