Home » » বেদ যজ্ঞ করে তোমরা মনের শক্তি নিয়ে জাগ্রত হও বিশ্বমানব শিক্ষা মঞ্চে

বেদ যজ্ঞ করে তোমরা মনের শক্তি নিয়ে জাগ্রত হও বিশ্বমানব শিক্ষা মঞ্চে


[  বেদ যজ্ঞ করে তোমরা মনের শক্তি নিয়ে সবায় জাগ্রত হও বিশ্বমানব শিক্ষা মঞ্চে।]
হে বন্ধুগণ, এক মন হয়ে জাগ্রত হও। অনেকে একস্থানে জমায়েত হয়ে জ্ঞানকে প্রজ্জ্বলিত কর। তোমরা সকলেই এক এক জন দেব-দেবী ও মুনি ঋষি সে কথা ভুলে যেও না বেদ যজ্ঞ করতে এসে তোমাদের শক্তি একত্রিত হলেই সমস্ত অসুর—শয়তান—রাক্ষস ধ্বংস হয়ে যাবে। তোমরা গম্ভীর স্বরে স্বব রচনা কর—আর এমন এক নৌকা তৈরী কর যাতে সকল যাত্রী সেই নৌকায় চেপে ভবসাগর পারাপার করতে পারে। তোমরা তোমাদের অস্ত্রসকল শাণিত ও শোভিত কর। হে বন্ধুগণ ভোঁতা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যেও নাউৎকৃষ্ট কর্ম অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা কর উজ্জ্বল দিব্য অস্ত্র সহকারে। তোমাদের দেহ হচ্ছে ক্ষেত্র। তুমি হচ্ছো চাষি। মন হচ্ছে লাঙ্গল। দেহের অন্যান্য অঙ্গ –প্রত্যঙ্গ চাষের সহযোগী যন্ত্রপাতিএখন যুগগুলি বিস্তারিত কর, এস্থানে তোমাদের যে ক্ষেত্র প্রস্তুত করা  হয়েছে, তাতে বীজ বপন কর। যে বীজ বপন করবে সেই বীজ শোধন করেছো কি? যদি শোধন না হয়ে থাকে তবে তা জ্ঞান দ্বারা শোধন করে তবেই বীজ বপন করবে।নচেৎ যে বীজ পড়বে সেই বৃক্ষ তোমার ক্ষেত্রে জন্ম নিবে। তুমি কোন অন্নে পরিপূর্ণ হতে চাও—তা তুমি নিজে ঠিক করে নাও। তোমার অভিপ্রায় পূর্ণ করার জন্য তোমার অন্তরে তোমার বিশ্বপিতা অপেক্ষায় রয়েছেন। যেমন ঘাস ভোজন করে গাভী সহস্রধারায় দুগ্ধ দেয়, সেরূপ বিশ্বপিতার ধ্যান তথা বেদ যজ্ঞ  তোমাদের অভিলাষ পূর্ণ করেন। তোমাদের ধন-ধান্যে- জন-অরন্যে ভূষিত করে শোভিত করে তোলেন। তোমরা কেবল সেই দীপ্তিশালী উজ্জ্বল শুভ্র জ্ঞানময় দণ্ডকেই শক্ত করে ধর—সবাই একমন হয়ে জাগ্রত হও – তোমরা পরস্পর বিভক্ত হইও না। যত তোমরা ধ্যান করবে ও একমন নিয়ে চিন্তা করবে তত তোমাদের জ্ঞান বেড়ে যাবে। তোমাদের মনের রূপ হল এই বিশ্বের রূপ।এক মন- এক প্রাণ—এক আত্মা থেকে সকলের সৃষ্টি, তাই কেউ তোমরা আলাদা নও। পশুদের অবজ্ঞা না করে তাদের জন্যে জলপান ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার প্রস্তুত করে দাও তাতে তোমাদের সুখ বৃদ্ধি পাবে।তাদের মনটাকেও বোঝার চেষ্টা করে, তাদেরকে হত্যা করা বন্ধ কর। তোমাদের তৈরী নৌকাতে স্রষ্টার সমস্ত সৃষ্টি যাতে স্থান পায়, তার জ্ঞান অর্জন করে—সকলকে আপন করে নাও। সকলকে রক্ষা করার জন্য সকলকে আহ্বান কর। তোমার আধারকে উত্তমরূপে সংস্থাপন কর। মূলদেশে কুঠারপাত করতে বা এই স্থান খনন করতে যেও না। মন নিয়ে মনন করে যাও। আধারকে ভ্রষ্ট করে ভ্রষ্টাচারে লিপ্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড় না। সুখের দাতা হয়ে সুখময় জ্ঞান দান কর, তবেই তোমার আধার দীপ্তিশালী হয়ে থাকবে। এবার সবায় একসুরে বল—জয় বিশ্বমানব শিক্ষার জয়।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide