[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে সদগুরুর উপদেশ ঘরে ঘরে পৌঁছে দাও তাতেই তোমার মানব
জীবন ধন্য হবে।]
সকল ইন্দ্রিয়ের রাজা মন। এই মন যা চায় তা
করতে যাবে না। মন কাউকে খুন করতে চাইলে কি তোমরা তাই করবে ? দেবতাদের রাজা ইন্দ্র
এই মন। এই মন সদগুরুর উপদেশ না পেলে গুরুপত্নীকে হরণ করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। তাই
মানব জীবনে সদগুরুর উপদেশের বিশাল ভূমিকা আছে। এই উপদেশ পেয়ে মানুষ যতক্ষণ না তাকে
কাজে লাগাবার জন্যে ক্ষেত্র তৈরী করবে ততক্ষণ সেই উপদেশের মুল্য সে এক কানাকড়িও
বুঝতে পারবে না। রাজা হয়েও ইন্দ্রের ন্যায় চরিত্রহীন হয়ে থাকবে। ধন- দৌলত- টাকা-
কড়ি দান করে কারও চরিত্রের পরিবর্তন হয় না যতক্ষণ না সে সদগুরুর উপদেশ অন্তরে
মন্থন করে অন্তরের সব সংকীর্ণতা ত্যাগ করে পবিত্র হয়ে, সেই উপদেশ অপরকে দান করে।
দানেই কেবল মানুষের মুক্তি। এই আচরণ শুরু করে দিলেই আর কোন অশুভ শক্তি তাকে স্পর্শ
করতে পারবে না। রাজা হয়ে আর সে কখনো ভিখারী সাজতে যাবে না। রত্নাকর দস্যু যখন
জগতগুরুর উপাদেশ পেলেন তখনি তাঁর মনের পরিবর্তন এলো, খোঁজ করতে শুরু করলেন
সদগুরুর। দীর্ঘ সাধনার পর তিনি তাঁর হৃদয় মন্দিরে সদগুরুকে দেখতে পেলেন ভগবান
রামচন্দ্র রূপে। শুরু হয়ে গেলো সদগুরুর উপদেশ নিয়ে তাঁর যাত্রা। বিশাল রামায়ণ সৃষ্টি হলো
তাঁর এই যাত্রা পথে মানব জাতির কল্যাণের জন্যে। মহাকবি কালিদাস মহামূর্খ ছিলেন।
হঠাৎ জীবন ত্যাগ করতে গিয়ে নিজের অন্তরে সদগুরুর অবস্থান দেখে চমকে উঠলেন। শুরু
হয়ে গেলো তাঁর যাত্রা সদগুরুর উপদেশ মাথায় নিয়ে। তাই তোমরাও আর ঘরে বসে না থেকে বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে সদগুরুর উপদেশ মাথায় নিয়ে অমৃতলোকের
উদ্দ্যেশে যাত্রা শুরু করো, এতেই জগতের সবার কল্যাণ নিহিত আছে। হরি ওঁ তৎ সৎ।