[ বেদ
যজ্ঞ করে জেনে নাও বিশ্বচরাচরের সবকিছু যদি এক ঈশ্বরের হয় তবে মানুষের তৈরী
মূর্তিটিও তাঁর।]
যারা মূর্তি পূজার বিরোধীতা করেন ও ঈশ্বরের মূর্তি
ভেঙ্গে ফেলার জন্যে উৎসাহ দেন- তাঁরাই আবার বলেন এই বিশ্বচরাচরের যাকিছু সবই
ঈশ্বরের ও তাঁর জ্ঞানদ্বারা আবৃত। তাহলে তাঁদের কাছে প্রশ্ন ঈশ্বরের যে মূর্তিটি
মানুষের হৃদয়ের ভক্তিভাব থেকে তাঁরই দেওয়া উপাদান দিয়ে তৈরী করা হল—সেই মূর্তিতে
কি ঈশ্বর বিরাজ করেন না ও সেই মূর্তিটি কি তাঁর জ্ঞান দ্বারা আবৃত নয়? এক ঈশ্বর বা
তাঁর জ্যোতি তাঁর সৃষ্টির সব উপাদানে যদি অবস্থান করেন তাহলে যারা মূর্তির পূজা
করেন তাঁদের বিরোধীতা করার অর্থ ঈশ্বরের বিরোধীতা করা। এক ঈশ্বরের রূপ- গুণ-
ঐশ্বর্য- বৈভব ও শক্তির শেষ নাই। জলে –স্থলে- অন্তরীক্ষে আমরা যা দেখছি সবই তাঁর
রূপ। তাঁর বিশ্বরূপ দেখার শক্তি ক্ষুদ্র মানুষের নাই। তিনি যদি কৃপা করে কাউকে
তাঁর ব্রহ্মবৃত্তে ধারণ করে তাঁর বিশ্বরূপ দেখার দিব্যদৃষ্টি দেন তবেই তা দেখার
সৌভাগ্য কতিপয় মানুষ বা জীব লাভ করে থাকেন। তাই মানুষের নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি-
বিবেক দিয়ে ঈশ্বরের যত সুন্দর রূপ- গুণ- ঐশ্বর্য –বৈভবের কথা মানুষ চিন্তা ও
কল্পনা করবে ততই তাঁরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অভিমুখে এগিয়ে যাবে ও নিজেদের
মানবিক দিকগুলির উন্নতি ঘটিয়ে সারা বিশ্বে শান্তি- সাম্য- সত্য ও ঐক্যের প্রতিষ্ঠা
করতে পারবে। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।