বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২৪/ ০৭/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[
বেদ যজ্ঞ যত করবে ততই জ্ঞানের গভীরে প্রবেশ করে বেদসূর্যকে হৃদিকাশে দেখতে পাবে।]
ব্রহ্মতত্ত্ব ও বেদতত্ত্ব অত্যন্ত নিরিড় ও গভীরভাবে মানব জীবনের সাথে যুক্ত
হয়ে আছে। এই তত্ত্বকে জানতে গেলে অন্তরে গভীর শ্রদ্ধা –প্রেম ও বিশ্বাসের প্রয়োজন
হয়। মানুষের শ্রদ্ধা- প্রেম ও বিশ্বাস স্বভাবজাত গুণ বা ধর্ম। বেদ যজ্ঞে শ্রদ্ধায়
হচ্ছে গো- দুদ্ধ। গো শব্দের অর্থ জ্যোতি এবং দুদ্ধ হলো অমৃত। তাই বেদ যজ্ঞের
মাধ্যমে অন্তরে যত শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পাবে- - ততই জ্যোতি ফুটে উঠবে দেহ- মন- প্রাণে।
সেই সাথে অমৃত পান করতে থাকবে-- বেদযজ্ঞকারী সদায় প্রাণভরে-- মুক্ত প্রকৃতির বুকে
ভ্রমরার ন্যায়। বেদ যজ্ঞকারীর বাক্যই অগ্নি। তাঁর প্রতিটি বাক্য অগ্নির ন্যায়
উজ্জ্বল ও পবিত্র। সত্যই হলো বেদযজ্ঞকারীর আহুতি। সত্য ছাড়া বেদযজ্ঞকারীর কাছে
যজ্ঞে আহুতি দেওয়ার আর দ্বিতীয় কোন পবিত্র বস্তু থাকে না। এই বেদযজ্ঞ থেকে যে
প্রজ্ঞা উঠে আসে- সেই প্রজ্ঞাই হলো বেদযজ্ঞকারীর আত্মা। এই শ্রদ্ধা – প্রেম ও বিশ্বাস নিয়েই বেদ
যজ্ঞকারী অনন্ত বিশ্বের সন্ধানে পারি দেয় এবং অন্তরে বেদসূর্যকে নিয়ে ব্রহ্মলোক
দর্শন করে সকলের মঙ্গলের জন্য কেবল অমৃত বর্ষণ করতে থাকে। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।