[ বেদ যজ্ঞ করে পরব্রহ্ম পরমপিতা পরমেশ্বরের মনন চিন্তন ও ধ্যান করে জগতের সবার সাথে যুক্ত
হয়ে পরমানন্দ সত্তা হয়ে অবস্থান কর।]
পরব্রহ্ম পরমপুরুষ আমাদের এই দেহে ইড়া পিঙ্গলা সুষুম্নাযোগে প্রণায়াম
মাধ্যমে অদ্বিতীয় একাক্ষর প্রণবজ্যোতিরূপে প্রতিষ্ঠিত হউন ও জাগ্রত হয়ে
ব্রহ্মজ্ঞান যোগের মহিমা দ্বারা জগতের মঙ্গলসাধন করেন। তিনিই বিশ্বময় প্রাণীজগতের
অধিপতি, পুরাণপুরুষ – তিনিই হলেন বর্ষণকারী মেঘাদিরূপে এই পৃথিবীর অনন্য
পালনকর্তা। তিনিই কবি-লেখকদের কণ্ঠে বহুবিধ মর্যাদায় বিশ্বব্যাপী অধিষ্ঠান করেন। তিনিই
অগ্নিরূপে এই ভূমণ্ডলের নাথ ও প্রাণস্বরূপ। তিনিই একমাত্র বেদ যজ্ঞরূপে সর্বব্যাপী
পুরাণপুরুষ। তিনিই হলেন এই পরমদেবতা যিনি আকাশযানে অর্থাৎ অদৃশ্যভাবে অপরের
হৃদয়গুহায় অধিষ্ঠিত হয়ে যাবতীয় অজ্ঞান অন্ধকার বিনাশ করেন। তিনিই ঋক- সাম- যজুঃ-
অথর্ব এই চার বেদকে হৃদয়গুহা মন্দিরে পরমযত্নসহকারে রক্ষিত করে রাখেন—নাভিকমলে
বেদময় (বা জ্ঞানময়) স্রষ্টা প্রজাপতি ব্রহ্মা রূপে। এই তত্ত্ব জেনে যারা বেদ যজ্ঞে
সদা তৎপর হউন এবং সদায় পরব্রহ্ম পরমপিতার মনন- চিন্তন ও ধ্যান করেন তাঁরাই মুক্ত
পুরুষ হয়ে তাঁর সাথে এক হয়ে কেবল তাঁরই লীলা কীর্তন করেন। ওঁ শান্তি শান্তি
শান্তি।