Home » » বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও কেন যেকোন পূজার আগে সংকল্প করতে হয়।

বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও কেন যেকোন পূজার আগে সংকল্প করতে হয়।


[বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও কেন যেকোন পূজার আগে সংকল্প করতে হয়।]
মনকে বশে আনার জন্যে সংকল্পের প্রয়োজন। সংকল্প বিহীন আরাধনা, পূজা বা সাধনা নিষ্ফল হয়। ইহা ব্যতিরেকে কোন কর্ম বা সাধনায় সিদ্ধিলাভ হয় না। মন ইহার বশ। তাই মনের সাধনাও ইহার উপর নির্ভর করে। মানব জীবনের যশ, খ্যাতি, শ্রী, বৃদ্ধি সবকিছু এর উপর নির্ভর করে। সে জন্যে কোন পূজা আরম্ভের আগে সংকল্প করার রীতি চলে আসছে—এই সঙ্কল্প করার সাথে সাথে মানুষের ইচ্ছাশক্তি—ক্রিয়াশিক্তি- জ্ঞানশক্তি এক বিন্দুতে স্থির হয়ে যায় ও মন মুখ এক হয়ে একমুখী অর্থাৎ ঈশ্বরমুখী হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানকালে মানুষ কেন পূজা বা সংকল্প করছে তা পর্যন্ত জানে না—বেদ যজ্ঞ সব বাড়ী থেকে বিদায় নেওয়ার ফলে। বৈদিকযুগে যাগ- যজ্ঞ –পূজা ইত্যাদিকে কর্ম বলা হত ও এসব কর্মকাণ্ডের শাখার মধ্যে অবস্থান করতো। তাই যে কোন কর্ম করার আগে মানুষকে সংকল্প গ্রহণ করতেই হতো। বর্তমানে মানব জীবন হয়ে উঠেছে বেদ বিহীন ও সংকল্প বিহীন এক ফলহীন বৃক্ষ স্বরূপ। তাই তাদের কোন কাজে সফলতা আসছে না। সংকল্প বিহীন তপস্যার অর্থ বিফল তপস্যা। দৃঢ় সংকল্প নিয়ে যে কোন পাপিষ্ঠ থেকেও পাপিষ্ঠতম মানুষ যদি হৃদয়- বেদকে উন্মোচন করার সাধনায় বেদ যজ্ঞে লিপ্ত থাকে, তবে তার হৃদয় –বেদ অচিরেই উন্মোচিত হয়ে জ্ঞানসূর্যের প্রখর প্রভায় সমস্ত পাপকে ভস্মীভূত করে দিতে সক্ষম হবে—এতে কোন ভুল নেই। ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide