[ বেদ যজ্ঞ করে নিজের হৃদয় মন্দিরে ভগবান রামকে জাগ্রত করে তাঁর সাথে এক
হয়ে নিজেকে তাঁর জ্যোতিতে বিলীন করো।
ওঁকার বা প্রণবরূপী পরব্রহ্ম শ্রীরামচন্দ্র
হলেন পরম জ্যোতিস্বরূপ। আমি হলাম সেই তিনিই। সেই ওঁকারাত্মক ব্রহ্ম হলাম আমি—এভাবে
মনে মনে স্থির করে, নিজেকে ব্রহ্মের সঙ্গে একীভূত করতে প্রয়াসী হবে। আমিই
শ্রীরামচন্দ্র, এই কথা যারা সত্যি সত্যি বলেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে শ্রীরামচন্দ্রের
সঙ্গে একাত্ম। এটিই হল রহস্যবিদ্যা এবং এই সত্যটি যিনি জানেন তিনি মুক্ত হয়ে
সর্বত্র বিচরণ করেন। এই পার্থিব জগতের কোন সুখ দুঃখ জরা ব্যাধি ভাল মন্দ তাঁকে
স্পর্শ করতে পারে না। সীতারূপী এই জগতের লক্ষ্মী তাঁর সাথে বিরাজ করেন ও তাঁর অভাব
অভিযোগ দূরীভূত করে তাঁকে সর্বদা আনন্দলোকে ধরে রাখেন। মহর্ষি যাজ্ঞবল্ক্য বেদ
যজ্ঞ করে মানব কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে এই রাম নামকে ওঁকার এর সাথে একীভূত করে
সকলকে রাম এর ন্যায় উদার ও শক্তিশালী হবার আহ্বান করেন। তাই ওঁ হচ্ছেন ভগবান রাম।
যিনি শ্রীরামচন্দ্র, তিনিই ভগবান, তিনিই ওঁকারব্রহ্ম, তিনিই আবার মহাবিক্রমশালী
প্রজাবৎসল সবার রাজা—এই মূর্তিমান পরব্রহ্মকে বার বার প্রণাম জানিয়ে আমরা বেদ যজ্ঞ
করে চলেছি। জয় রাম শ্রীরাম জয় জয় রাম—রঘুপতি রাঘব রাজা রাম।