[ বেদ যজ্ঞ করে উদার দেশপ্রেমিক মহান নেতা হও।]
উদার দেশপ্রেমিক নেতা আমার অতি প্রিয়। যারা দেশকে
ভালবাসে, তারা দেশের মাটিকে ভালবাসে, তারা দেশের মাটি থেকে উৎপন্ন সকলকে ভালবাসে,
তারা দেশের জল, আকাশ, বাতাসকে আপন করে নিয়ে প্রকৃতির কোলে মহানন্দে বিচরণ করে।
তারা অহংশূন্য ও চাহিদা শূন্য হয়ে পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার ব্রতে দৃঢ় থেকে সকলের
মঙ্গল করে চলে। তারা আমাকে ডাকুক আর না ডাকুক, আমাকে বিশ্বাস করুক আর না করুক, আমি
তাদেরকে বিশ্বাস করি, তাদের চিরসাথী হয়ে তাদের সাথে অবস্থান করি। আমি কারোও ডাকার
ও পূজা পাবার অপেক্ষা করি না। যে ভাল ভাল কাজ করে, আমি তার সাথে থেকে তার ভাল কাজে
হাত মিলাই ও তাকে উৎসাহ দিই এবং সর্বপ্রকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। ভালো কাজ
যারা করে, তারাই তো দেশপ্রেমিক। যারা মানুষকে সৎ ও কল্যাণের পথে ডাক দিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ
করে, তারাই তো দেশপ্রেমিক। যারা সৎ পথে অবস্থান থেকে সত্যকে নিয়ে গবেষণা করে তারাই
তো দেশপ্রেমিক। যারা দেশের মানুষকে শিক্ষা দিয়ে সৎকর্মশীল ও শ্রদ্ধাশীল রূপে গড়ে তোলে তারাই
তো দেশপ্রেমিক।
যারা
দেশের মাটিতে বাস করে দেশের মাটির মর্যাদা দিতে জানে না তারা অজ্ঞ ও পাষণ্ড। তারা
নিজেরা জানে না মাটির সাথে তাদের কত মধুর সম্পর্ক। এই মধুর সম্পর্ক যারা ছিন্ন করে
চলে তারা স্বার্থপর জীব। এই স্বার্থপর লোকেরা কোনদিন দেশপ্রেমিক হয়ে দেশের সম্পদ
হতে পারে না। যারা দেশের মাটির খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করে, অথচ দেশকে ভালবাসে না,
দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যে চিন্তা করে না, তারাই তো দেশদ্রোহী। দেশের সবার
মঙ্গলের জন্য, যারা সদায় সৎ চিন্তায় লিপ্ত থেকে নিজ অধিকার মতো কর্তব্য কর্ম সময়ের
মধ্যে শেষ করে ও সকলকে নিয়ে চলতে শেখে, তারাই উদার দেশপ্রেমিক হয়ে মহান নেতা হয়ে
ওঠে। স্বার্থপর লোকেরা কখনো সংকীর্ণতাকে ত্যাগ করে উদার হতে পারে না। উদার না হলে
কেউ মাটিকে ভালবাসতে পারে না। যারা মাটিকে ভালবাসতে পারে না, তারা পরার্থে জীবন
উৎসর্গ করার সৎ জ্ঞান ও সৎ সাহস লাভ করতে পারে না। ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ।