[বেদ যজ্ঞ করে তোমরা নিজেদের আহার শুদ্ধি করে তা গ্রহণ করো।]
খাদ্য ছাড়া জীবের বেঁচে থাকার কোন পথ নাই।
মানুষকেও খাদ্য খেয়েই বেঁচে থাকতে হয়। মানুষ উন্নত প্রজাতির জীব –তাই তাঁদের
খাদ্যও উন্নত শ্রেণির হওয়া প্রয়োজন। দেহমনপ্রাণের শুদ্ধি ঘটাবার জন্যে মানুষকে খাদ্য-খাবার
খেতে হয়। কেবল পেটের জ্বালা মেটাবার জন্যে খাদ্য নয়- মন- প্রাণ আত্মার শুদ্ধির
জন্যে মানুষকে সবসময় খাদ্য গ্রহণ করতে হয়—তাছাড়া মানুষের মুক্তি কোথায়? আহার মানে
শুধু খাদ্য বস্তু নয়- আহার মানে ইন্দ্রিয়াদি দিয়ে আমরা যা কিছু নিজেদের ভিতরে আহরণ
করি সেগুলি সবই আমাদের খাদ্যরূপে কাজ করে। এই খাদ্যের দ্বারাই আমাদের দর্শন –চিন্তন-
মনন ইত্যাদি প্রক্রিয়া চলতে থাকে। তাই আমাদের খাদ্যকে পরিশুদ্ধ করে বেদ যজ্ঞের
মাধ্যমে তা গ্রহণ করতে হয়। যত আমরা এই শুদ্ধিকরণের পদ্ধতি বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে
গ্রহণ করতে পারবো ততই আমরা নিজেকে পবিত্র সত্তা রূপে প্রকাশ করতে পারবো। এই
খাদ্যের উপরেই আমাদের স্মৃতিশক্তি- বাকশক্তি- কর্মশক্তি – জ্ঞানশক্তি ও গ্রহণশক্তি
নির্ভরশীল। হরি ওঁ তৎ সৎ।