[বেদ যজ্ঞ করে আগে তোমরা নিজেকে অজ্ঞান অন্ধকার স্বরূপ নরক থেকে উদ্ধার
কর।]
তোমরা বেদ যজ্ঞ কর- নিজেকে উদ্ধার করার
জন্যে। তোমরা কেন নিজের জীবনকে হরিণের ন্যায় ব্যাধের হাতে ছেড়ে দিয়েছো? তোমরা কেন
কারো শিকার হয়ে এই জ্ঞানপীঠে বাস করবে? তোমরা মানুষ হয়ে এখানে কেবল বেদ যজ্ঞ করার জন্যে এসেছো – যজ্ঞ করেই নিজেকে উদ্ধার করতে হবে
অন্ধকার গুহা থেকে। তোমরা কোন যুগে অন্ধকার গুহাতে এক আলোর জগত থেকে এসেছো নিজেকে
উদ্ধার করার জন্যে কিন্তু কিছুতেই সেই অন্ধকার গুহা থেকে বের হয়ে মুক্তাকাশে আসতে
পারছো না। তোমরা উঠো নিজের দীপ্তি নিয়ে – তোমাদের সবার নিজের দীপ্তি আছে—সেই
দীপ্তিকে ঈশ্বরের দীপ্তির সাথে যুক্ত করে কর –তাহলেই দেখবে তুমি তোমার ঈশ্বরের
ন্যায় প্রতাপশালী হয়ে জেগে উঠেছ । বেদ যজ্ঞের শিখা যত উজ্জ্বল হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে
উঠবে ততই তোমরা অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এগিয়ে যাবে—স্বর্গীয় দীপ্তির প্রভাবে
তোমাদের জীবন উজ্জ্বল হয়ে উঠবে – তাই আর থেমে থেকো না – সবায়কে এই যজ্ঞে আহ্বান কর—সবার
জীবন মধুময় করে তুলো—সবায়কে যজ্ঞের সুস্বাদু ফল বিতরণ করো। একবার যে এই যজ্ঞের ফল
প্রসাদ স্বরূপ ভক্তিভরে গ্রহণ করবে সেই নরক থেকে মুক্ত হয়ে মহানন্দলোকে অবস্থান
করবে।