[ বেদ যজ্ঞ করে বেদ ভগবানের চরণে নিজেকে উৎসর্গ করে মানব জীবন ধন্য করো।]
হে বীর বেদ যজ্ঞ থেকে নিজেকে বিরত রেখো না।
হে বীর—হে জ্ঞানী—সাহস অবলম্বন কর—কাপুরুষতা, দুর্বলতা ত্যাগ করে দীপ্ত কণ্ঠে বলো—আমার
বেদ যজ্ঞ- আমার পূজা প্রার্থনা –মন্ত্র- যোগ সাধনা – আমার ধর্ম –আমার কর্ম –আমার
উপবাস-ব্রত ও আমার সর্বপ্রকার উপাসনা – আমার অনুষ্ঠান সমূহ – আমার জ্ঞান-বিজ্ঞান,
আমার শিক্ষা –দীক্ষা, আমার জীবন-যৌবন, আমার ধন –দৌলত, আমার বিবাহ, আমার সংসার,
আমার জন্ম-মৃত্যু- সবকিছুই এক পরব্রহ্ম পরমেশ্বরের জন্য উৎসর্গীকৃত।
আরও
বলো—আমার আনন্দ- আমার দুঃখ – আমার ব্যাথা-বেদনা—আমার সংগ্রাম- আমার পরিশ্রম
পরমেশ্বের জন্যই নিবেদিত। তাদের মাধ্যমেই তিনি আমাকে সৎ পথে ও কল্যাণের পথে চলার
নির্দেশ দিয়ে চলেছেন। আমার জ্ঞানগুরু হয়ে তারাই আমাকে দিয়ে সদায় বেদ যজ্ঞ করিয়ে
চলেছেন।
আরও
বলো দিনরাত বেদ যজ্ঞ করতে করতে বলো—পরব্রহ্ম পরমেশ্বর ছাড়া আমার দ্বিতীয় কোন
উপাস্য ও অভিভাবক নাই—তিনি আমার প্রাণের উপাস্য দেবতা হয়ে আমার হৃদয় মন্দিরে
অবস্থান করছেন—তাই তিনিই আমার অন্তরের
বেদ- জ্ঞান- বুদ্ধি- বিকেক ও চালক শক্তি। তিনিই আমার একমাত্র শক্তি ও ভরসা হয়ে
আমাকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে চলেছেন।
বলো ভাই প্রাণভরে--- পরব্রহ্ম পরমেশ্বর আমার শক্তি—আমার জ্ঞান—আমার ভক্তি—আমার
অন্তরের দেবতা- আমার প্রাণ- আমার আত্মা—আমি তাই সবায় বেদ যজ্ঞ করে এই হৃদয় মন্দির
পবিত্র করে রাখবো—এখানে কোন আবর্জনার জল প্রবেশ করতে দিব না।
আর দিনরাত
প্রার্থনা কর আর বলো—হে পরমপিতা পরমেশ্বর তুমি আমার হৃদয় বেদ খুলে দাও—আমার
জ্ঞানচক্ষু খুলে দাও—আমার হৃদয় সদা নির্মল রাখো—আমার দুর্বলতা – কাপুরুষতা –
অজ্ঞানতা বিনাশ করো—আমাকে প্রাণভরে বেদ যজ্ঞ করার জ্ঞান ও শক্তি দাও—আমায় মানুষ
করো ও তোমার সাথে সদা জাগ্রত করে রেখে তোমাকে প্রাণভরে দেখতে দাও প্রভু।