[ বেদ যজ্ঞ করে ঈশ্বরের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলো।]
প্রথম মানুষ মনু বা আদমের সাথে তিনি যে
সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন, আজকের মানুষের সঙ্গেও তিনি সেই সম্পর্ক ধরে রেখেছেন।
আব্রাহামের ঈশ্বর আর আজকের মানুষের ঈশ্বরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তাঁদের ঈশ্বর
যেমন তাঁদের সাথে বাস করতেন; তেমনি বর্তমান বৈজ্ঞানিক যুগের মানুষের সাথেও ঈশ্বর
একই নিয়ম মেনে বাস করছেন। আদম, আব্রাহমেরা বিশ্বাস করতেন তাঁদের ঈশ্বরকে এবং নিজ
আত্মাকে তাঁর সাথে যুক্ত দেখতে পেতেন। সেই সাথে তাঁর সাথে সম্পর্ক মধুর করে তাঁর
নিকট থেকেই জ্ঞান লাভ করে অনন্ত জীবন গড়ে তোলার পথ লাভ করতেন। একই ঘরে বাস করে
ঈশ্বরের সাথে যারা কলহ করে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাদের মতো নির্বোধ কে আছে?
তাঁরা জানতেন মানুষের হৃদয় হচ্ছে ঈশ্বরের মন্দির। এই মন্দিরে ঈশ্বরের আত্মা
বাস করেন। এই মানব দেহটাকে তিনিই ধারণ করে আছেন। তাঁর উপাসনা না করলে তাঁর সাথে
বিবাদ হবে। আর ঈশ্বরের সাথে বিবাদ করে কেউ জয়ী হতে পারে না। পার্থিব দেহ ও পার্থিব
জগতের সুখের জন্য যখনি মানুষ নিজ আত্মার উপাসনার কথা ভুলে গেছে তখনি সে প্রতিমা
পূজারী হয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে এনেছে।
ঈশ্বরের আত্মাই হচ্ছেন আদি খ্রিষ্ট। তিনি সর্বভূতে বিরাজ করছেন। আত্মার
দীপ্তিই হচ্ছে জগতের প্রাণ। ঈশ্বরের আত্মার সাথে যে প্রাণ ঘর বাঁধতে পারে,সে
ঈশ্বরের হয়ে যায়। মানুষকে ঈশ্বর নিজের মতো করে নির্মাণ করেছেন কেন? কারণ তিনি
মানুষকে ঈশ্বর রূপেই দেখতে চান। তিনি কখনো চাইবেন না মানুষ হয়ে কেউ অমানুষের মতো
কাজ করুক বা মানুষ হয়ে কেউ তাঁর স্রষ্টাকে বা পিতাকে অস্বীকার বা অবিশ্বাস করুক।