[ বেদ যজ্ঞ করে নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র বা অমৃতের সন্তান রূপে জেনে নাও।]
ঈশ্বরের আত্মা বীজ আকারে প্রত্যেক মানবদেহে
অবস্থান করে। সেই আত্মার পূর্ণরূপ একমাত্র মানবদেহে পুষ্টিলাভ করে
শ্রদ্ধা-ভক্তি-প্রেম ও বিশ্বাসের মাধ্যমে। মাতৃগর্ভে যেমন পিতার সন্তান পুষ্টিলাভ
করার পর ভূমিষ্ঠ হয় ঠিক তেমনি ঈশ্বরের
আত্মা পুত্র রূপে পুষ্টিলাভ করার পরে মানবদেহ থেকে ভূমিষ্ঠ হয় পৃথিবী ও স্বর্গরাজ্য আলোকিত করে।
মানব দেহে ঈশ্বরের আত্মা পুষ্টিলাভ করে পৃথিবী ও স্বর্গরাজ্য আলোকিত করার করার
পরে- পরেই সেই আত্মার ঈশ্বরের সাথে পিতা- পুত্র সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঈশ্বর ও পুত্র এই
পৃথিবীর বুকে এক হয়ে ভূমিষ্ঠ হয়ে অধিষ্ঠান করেন জগতের সবার মঙ্গলের জন্য। ঈশ্বর
পুত্র জগতবাসীকে উপদেশ দেন পিতার আদেশ মান্য করে সকলকে ঈশ্বরের পুত্র রূপে বেড়িয়ে
আসার জন্যে রক্ত মাংসের দেহ থেকে। রক্ত –মাংসের দেহে ঈশ্বরের আত্মা অবস্থান করলেও
সে বীজ আকারে মৃত অবস্থায় থাকে। এই আত্মাকে জাগ্রত করতে হয় পিতার উপর পূর্ণ
বিশ্বাস স্থাপন করে। নিজ আত্মা ঈশ্বরের পুত্র রূপে দেহ গর্ভে অবস্থান করছে—সেই
পুত্র জন্ম দেওয়ার ব্যবস্থা যে মানুষ করতে পারে না—সে ঈশ্বরের পুত্রের সৎ- সত্য-
সুন্দর ও জ্যোতির্ময় রূপ দেখবে কি প্রকারে ? মানুষের এই পুত্র লাভ না হলে মুক্তি
কোথায় ? ঈশ্বর এই পৃথিবীর বুকে কোটি কোটি নিজ সন্তানের জন্ম দিয়ে সন্তান দল গড়ে
তোলার জন্য আব্রাহামকে আশীর্বাদ করেছিলেন। তাঁর সন্তানরা সকলেই ঈশ্বরের সাথে
সম্পর্ক গড়ে তোলে পৃথ্বীকে উজ্জ্বল রূপে গড়ে তুলবে এই আশা করেছিলেন। মানুষ ভুলে
গেছে ঈশ্বরের সন্তানকে পৃথিবীর বুকে ভূমিষ্ঠ করতে। তারা নিজেদের রক্ত মাংসের পিণ্ড
থেকে সন্তান- সন্ততি ভূমিষ্ঠ করে ঈশ্বরের পথ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।
প্রভু যীশুখীস্ট এই পৃথিবীর বুকে ঈশ্বরের পুত্র
রূপে নিজেকে অবতীর্ণ করে বিশ্ববাসীকে পথ দেখিয়ে গেছেন। প্রত্যেক মানুষ ঈশ্বরের
পুত্র বা অমৃতের সন্তান। প্রত্যেকের পিতা এক ঈশ্বর। তাঁকে পিতা রূপে জেনে তাঁর
দেওয়া আত্মারূপ বীজকে অঙ্কুরিত করে বৃক্ষে পরিণত করতে হবে ও সেই বৃক্ষকে পত্র,
ফুল, ফল- সৌরভে বিকশিত করে তার জন্ম দিতে হবে এবং সেই আত্মারূপ পুত্রকে রক্ত-
মাংসের গর্ভ থেকে বের করে আনতে হবে এই পৃথিবীর বুকে। তখনি মানুষ নিজের পুত্রকে
ঈশ্বরের পুত্ররূপে দেখতে পাবে নিজ মন্দিরে।