[পবিত্রতা সততা
অফুরন্ত শক্তির ঘর]
পবিত্রতা ও সততা মানুষের অফুরন্ত শক্তির ঘর।
মানুষ পারে পবিত্র হয়ে থাকতে ও সততার সাথে কর্ম করতে। কীভাবে মানুষ পবিত্র হতে
পারে? পবিত্র থাকার সহজ পথ- পবিত্র খাদ্য গ্রহণ, সত্য ভাষণ, সৎ কর্ম ও সৎ চিন্তার
মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রাখা। সেই সাথে মনকে সর্বদা সংযত ও পবিত্র রেখে ঈশ্বরের
জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরে ধরে রাখা- এই সহজ –সরল জীবন হচ্ছে পবিত্র ও সৎ জীবন।যে মানুষ
এই এই কাজ কর্তব্য কর্ম রূপে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে করার অভ্যাস করেছে তার শক্তির
অভাব নেই। অফুরন্ত শক্তির মালিক হয়ে সে পৃথিবীর বুকে ইচ্ছে করলে এমন কোনো কাজ নেই
যে করতে পারে না। কিন্তূ তারা কিছুই করে না ঈশ্বরের প্রেরণা না পেলে। নিজে কোনো
কাজ করতে গিয়ে যদি অহংকার চলে আসে, তাই তারা নাম,যশ,খ্যাতির দিকে ঘুণাক্ষরে পা
রাখে না ও প্রচারের আলোতে আসে না। এই শক্তিধর মহাপুরুষরা গোপনে মানব সমাজে একটা ঝড়
তুলে যায়- যে ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় সমস্ত অজ্ঞান-অন্ধকার-কুসংস্কার। অনেকে এমন
কু-সংস্কারের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়ে নিজেকে পবিত্র রাখতে গিয়ে যে কাউকে স্পর্শ করলে
স্নান করে, জাত-পাত-গন্ডীর বাইরে কেউ খাবার স্পর্শ করলে সেই খাবার খায় না, সর্বদায়
মাথায় জল ছিটাতে থাকে নিজেকে পবিত্র রাখার জন্য। দেহে কত রকম তিলক কাটে, দাঁড়ি
রাখে, টিকি রাখে ইত্যাদি এসব করতে গিয়ে তাদের মনটা পবিত্র না হয়ে আরও অপবিত্র
কুন্ডে আবদ্ধ হয়ে যায়। ধর্ম করতে গিয়ে তারা অধর্ম কুন্ডে আবদ্ধ থাকে। তোমরা
বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে জ্ঞান সাগরে স্নান করে পবিত্রতা ও সততা রক্ষা করে
চলবে, তোমাদের শক্তির অভাব হবে না। অফুরন্ত শক্তির ভান্ডারের সাথে তোমাদেরকে যুক্ত
করে দেওয়া হয়েছে- কেবল নিজেকে জেনে নাও- সবকিছু উপলব্ধির মধ্যে চলে আসবে। কখনো
নিজেকে পবিত্র রাখতে গিয়ে –অপবিত্র কুন্ডের উপাসনা করতে যাবে না-কেবল ঈশ্বরের
জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঘরে বসে গবেষণা চালাবে, তবেই তোমাদের পবিত্রতা ও সততা সদায় রক্ষিত
থাকবে।