বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—০৭/ ১১/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে মানব
সমাজ থেকে অজ্ঞান- অন্ধকার মুছে ফেলতে হবে।]
বেদ
ভগবান হলেন সকল মানুষের রাজা। তাঁকে কোন অজ্ঞান- অন্ধকার- মায়া- মোহ- কামনা- বাসনা
স্পর্শ করতে পারে না। জ্ঞানময় আলোর দেহ নিয়ে তিনি সর্বত্র আত্মজ্ঞানে ভরপুর হয়ে
বিরাজ করেন। তিনি মানুষের অন্তরে রাজা হয়ে বিরাজ করেন। সেই রাজজ্ঞান মানুষকে
মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে প্রেরণা যোগায়। বেদ যজ্ঞ না করার ফলে মানুষ এই
রাজজ্ঞানের সত্যকে অনুভব করতে পারে না। ফলস্বরূপ তাঁরা কেউ পদমর্যাদা রক্ষা করে
ঈশ্বরের জ্ঞান ও শক্তিতে ভরপুর হয়ে মানুষকে রাজজ্ঞানের আলোতে আলোকিত করে তুলতে
সক্ষম হয় না। যদি দেশের প্রতিনিধিগণ বেদ যজ্ঞ করে রাজজ্ঞানের আলোতে আলোকিত হয়ে দেশ
পরিচালনা করতেন তবে দেশের প্রজাগণও সেই আলোতে আলোকিত হয়ে থাকতেন। রাজজ্ঞান ও
রাজশক্তিতে প্রজারা অতি সহজ পথে অজ্ঞান থেকে মুক্ত হয়ে জ্ঞানী ও শক্তিবান হয়ে
উঠতেন। রাজার রাজবিদ্যার কৌশল গুণে দেশে কোন অজ্ঞান ও দুর্বলতা মাথা চাড়া দিয়ে
উঠতে পারে না। বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে রাজা যেজ্ঞানে জ্ঞানী সেই জ্ঞানে প্রজাদের
জ্ঞানী করে না তুলতে পারলে সেই দেশের সকল প্রজা অজ্ঞানের অন্ধকারেই থেকে যায়। যে
দেশের রাজা বেদ ভগবানের প্রতিনিধি না হয়ে জনগণের প্রতিনিধি হয়ে রাজ সিংহাসনে বসেন,
তিনি কোনদিন নিজের দেশের প্রজাদের শ্রদ্ধাভাজন হয়ে অজ্ঞান থেকে মুক্ত করতে সক্ষম
হন না। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।