বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৪/ ১১/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে মনকে বিভিন্ন প্রকার লৌকিক এবং
পারলৌকিক কামনা- বাসনার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করো, তবেই পরমানন্দ পরমেশ্বরকে লাভ করে
মুক্ত হতে পারবে।]
পার্থিব জগতের কামনা- বাসনা পূর্ণ করার
জন্যই মানুষ ঈশ্বরকে ডাকে। বেদযজ্ঞ করে কেউ বেদের শিখার আলোতে বেদ ভগবানকে দেখার
জন্য সাধনা বা চেষ্টা চালায় না। বেদ যজ্ঞ না করার ফলে মানুষ সত্য থেকে অনেক দূরে
সরে থাকে। সত্য থেকে দূরে সরে থাকার কারণে, মানুষের মন সর্বদা বিভিন্ন প্রকার
লৌকিক এবং পারলৌকিক কামনা- বাসনায় ডুবে থাকে, এই জন্য তারা পরমানন্দস্বরূপ
পরমেশ্বরকে কীভাবে লাভ করতে হয় তা বিচার করতে পারে না। কেউ ভাবে ঈশ্বরের মূর্তি
গড়ে তাঁর পূজা করলেই তাঁকে লাভ করা যায়। কেউ ভাবে ঈশ্বরের মূর্তিকে ভেঙ্গে চুরমার
করে দিলেই তাঁকে লাভ করা যায়। এদের বিষয় আসক্তি এতই প্রবল যে মনের মধ্যে কোনরূপ
পরমাত্মিক চিন্তা জাগতে দেয় না এবং এব্যাপারে এদের বিবেক জাগ্রত হয় না। এই সকল
কামনা- বাসনা যখন সাধকের অন্তর থেকে সমূলে বিনষ্ট হবে তখনি সে পরমেশ্বরের বিশ্বরূপ
দর্শন করে পরম তৃপ্তি লাভ করবে। মরণশীল মানুষকে মৃত্যুলোকে এসে দেহধারণ করতে হয়
অমরত্ব লাভ করার জন্য। এখানে সবার জন্ম হয় অমৃত থেকে। আর এই শরীরেই পরব্রহ্ম পরমেশ্বরকে
সাক্ষাৎ করতে হয়। জয় বেদ ভগবানের জয়।
