বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—০৩/ ১১/ ২০১৬ স্থানঃ মথুরাপুর* মানিকচক* মালদা* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করেই মানুষকে ধর্ম
সংকট থেকে মুক্ত হতে হবে, কারণ বিশ্ববাসী ধর্ম সংকটে পড়ে দিশেহারা হয়ে গেছে।]
বেদ যজ্ঞ
করতে মানুষ ভুলে গেলেই তারা সত্য থেকে বিচ্যুৎ হয়ে পড়ে। সারা পৃথিবী যখন শংকর
জাতের মানুষে পরিপূর্ণ হয় তখন মানুষ ধর্ম সংকটে পড়ে। সনাতন ধর্মের ধারা থেকে তারা
দূরে সরে যাওয়ার ফলে সত্যকে আর চিনতে পারে না। সত্যের উপাসনা করে আর কেউ সত্যকে
ক্রয় করে না। সকলে নিজ নিজ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ছুটে চলে দিশাহীন হয়ে মিথ্যা
মরিচিকার পিছনে। যে যার মতো সত্যকে বানিয়ে নিয়ে তার উপাসনা করে চলে কিছু পাবার
আশায়। নিজেদের সন্তান- সন্ততিকে মহৎ করে পৃথিবীর কোলে আনার জ্ঞান টুকুও হারিয়ে
ফেলে। ঈশ্বর মানুষকে মাটি থেকে উৎপন্ন করে বেদজ্ঞান দান করেছেন। সেই জ্ঞানের
দ্বারাই মানুষ যাতে নিজেকে জেনে ঈশ্বরকে জানতে পারে তার সহজ পথ করে রেখেছেন।
ঈশ্বরের জ্ঞানে জ্ঞানী হয়ে সর্বভূতের মধ্যে নিজেকে ও নিজের মধ্যে সর্বভূতকে দেখার
কৌশল শিক্ষা তিনি দিয়েছেন। নিজের বিশ্বরূপ তিনি মানুষকে দেখিয়ে বিশ্বের সকলকে
আত্মীয়রূপে গ্রহণ করার শিক্ষাও দিয়েছেন। মানুষ ঈশ্বরের দান রূপে বিশাল মন ও হৃদয়
লাভ করেও বড় সংকীর্ণ মনের হওয়াতে ধর্ম সংকটে পড়ে নিজেদের ধর্ম আর রক্ষা করতে পারছে
না। যে নারীকে ধর্ম রক্ষার জন্য পুরুষের সঙ্গিনী করা হয়েছে, সেই নারী হয়ে উঠেছে
পুরুষের ভোগের বস্তু। নারী মানুষকে জ্ঞান দিয়ে মায়া মুক্ত করবে এবং ধর্ম সংকট থেকে
মুক্ত করবে, এই শক্তি দিয়ে প্রতিটি নারীর জীবন তৈরী। নারী- পুরুষের বিবাহিত জীবন
কেবল ভোগের জন্য নয়। উভয়ে মিলিত হয়ে বেদযজ্ঞের মাধ্যমে বেদজ্ঞান লাভ করে উন্নত
জীবন ধারার স্রোতকে এই ধরার বুকে ধারণ করে রাখার জন্য। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।