বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০২/ ১১/ ২০১৬ স্থানঃ—মথুরাপুর*
মানিকচক* মালদা* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে যে অনুভূতি লাভ করতে থাকবে তা
ব্যক্ত করবে, তাহলেই অন্তঃকরণ পবিত্র হতে থাকবে।]
বেদ যজ্ঞ করে মানুষ যেরূপ ভাবনা করে, সেরূপই হয়ে
যায়। মানুষের সংকল্পের এটি এক আশ্চর্যজনক শক্তি। কিন্তু মানুষ যখনি এই সাধনার ফল
পেতে শুরু করে তখনি সাবধানতা অবলম্বন না করলে অন্তঃকরণে অহংকারের মেঘ জমা হয়। এই
অহংকার জমা হলেই সদগুণের পরিবর্তে আভিজাত্যের মোহে পড়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। এই পতন
রোধ না করতে পারলেই বেদের বচনের রহস্য যথার্থরূপে আর অনুধাবন করা সম্ভব হয়ে উঠে
না। তাই মানুষের উচিত নিজেকে আগে বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী রূপে জেনে সমস্ত অহংকার
ত্যাগ করে বেদ ভগবানের শরণাগত হয়ে বেদযজ্ঞে ব্রতী হওয়া। বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মীর
কীর্তি পর্বত শিখরের মতো উন্নত এবং বিশাল। এই বিশালত্বের সাথে এক হয়ে থেকেও তাঁর
কোনোরূপ শক্তি- ধন- জ্ঞান- বুদ্ধির অহংকার প্রকাশ হয় না। নিজের অনুভুতির আনন্দে
পরমানন্দরূপ অমৃতে নিমগ্ন এবং শ্রেষ্ঠ ধারণাযুক্ত বিজ্ঞানময় জ্ঞান- বুদ্ধিসম্পন্ন
হয়ে স্থির থাকায় তাঁর পরমপ্রাপ্তি। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।