বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—১০/ ১১/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুরশিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে জেনে নাও সত্য
কারোও কামনা –বাসনা অনুযায়ী চলে না, সত্যের পথ অবলম্বন করেই দেশের মাটিতে সার্বিক
উন্নতির জন্য সু- শৃঙ্খলার ব্যবস্থা রাজাকেই করতে হয়।]
রাজা
হলেন দেশের মাটিতে বেদ যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত। তিনি বেদের সত্য মন্ত্র উচ্চারণ
করলেই দেশের প্রজারা সেই মন্ত্র উচ্চারণ করার সুযোগ পান এবং সেই সত্য বেদ যজ্ঞে
আহুতি দিয়ে ধন্য হন। দেশের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য ভারতের মাননীয় প্রধান
মন্ত্রী যে সত্যের পথ দেশবাসীকে দেখিয়েছেন এবং দেশবাসীকে মাতৃভুমির সেবা করার
সুযোগ করে দিয়েছেন, এ দেশবাসীর পরম সৌভাগ্য। যাঁদের কাছে কালো টাকা আছে তা
জন্মভুমির জন্য খরচ করার সৌভাগ্য লাভ করে সমস্ত পাপের বোঝা থেকে মুক্ত হবেন—এর
থেকে পুণ্যের কাজ দ্বিতীয় নেই। আর সাধারণ মানুষ যারা বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে তাঁদের
টাকা পরিবর্তন করার জন্য একটু পরিশ্রম করবেন, এটাও জন্মভুমির সেবা করার একটা
সৌভাগ্য ও নিজের মাতৃভূমির জন্য বেদ যজ্ঞের ন্যায় পুণ্যের কাজ। ভারতের মাটিতে যখন
বেদ যজ্ঞ শুরু হয়েছে তখন কোন সত্যই ঢাকা থাকবে না। একটার পর একটা সত্য মিথ্যাকে
চাপা দিয়ে জেগে উঠবে। যারা সারাজীবন মিথ্যার সাধনা করে এসেছেন তাঁরা সত্যকে দেখলে
স্বাভাবিকভাবে একটু ভয় পেয়ে চিৎকার ও গলাবাজি করবে। কিন্তু কেউ সত্যের আলো ছেড়ে
মিথ্যা অন্ধকারের দিকে আর ছুটে যাবে না। বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে এই সত্য ভারতের মাটিতে
জেগে না উঠলে সমস্ত কিছুই বিশৃঙ্খল হয়ে উঠতো। তাই ভারতবাসীর কাছে আবেদন বেদের সত্য
থেকে কেউ মুখ ফিরিয়ে নিবেন না। বীর বিক্রমে দেশকে এগিয়ে যেতে সকলেই সাহায্য করুন।
জয় বেদ যজ্ঞের জয়।