Home » » বেদ যজ্ঞ সম্মেলন ঃ--২১/ ১০/ ২০১৬

বেদ যজ্ঞ সম্মেলন ঃ--২১/ ১০/ ২০১৬

বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২১/ ১০/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ- [ বেদ যজ্ঞ করে চলো অন্তরে শ্রদ্ধা- ভক্তি- বিশ্বাস নিয়ে, আকস্মিকভাবে যেকোন সময় বিপদ আসতে পারে এই সত্যকে মাথায় রেখে।]
বেদ যজ্ঞ করাকালীন আকস্মিকভাবে আশীর্বাদ ও বিপদ নেমে আসতেই পারে জীবনে। বেদ যজ্ঞকারীর জীবনে দুটিই আসে ঈশ্বরের নিকট থেকে মঙ্গলের জন্য। আর যাদের জীবন বেদযজ্ঞবিহীন তাদের জীবনে দুটিই আসে অভিশাপ হয়ে। বেদযজ্ঞকারীরা সদায় ধীর- স্থির তাই তারা কোন অবস্থাতেই বিচলিত হয় না। বেদযজ্ঞবিহীন জীবন পার্থিব জগতের সুখ- দুঃখ- মোহের সাথে এমনভাবে জড়িত থাকে যে ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেলেই তাদের অহংকার বেড়ে যায় এবং পতনের দুয়ার নিজেরাই তৈরী করে নেয়। বিপদ এলে আর নিজের জ্ঞান- বুদ্ধি দিয়ে উদ্ধার হবার পথ তারা খুঁজে পায় না, কারণ তারা নিজের জ্ঞান- বুদ্ধিকে ঈশ্বরের জ্ঞান- বুদ্ধির সাথে যুক্ত না রেখে অহংকারের সাথে যুক্ত রাখে। ঈশ্বর তো আগে- ভাগেই বিপদের সংকেত দিয়ে বলে দেন—‘ আমি সাধু ব্যক্তিদের পরিত্রাণের ব্যবস্থা করি এবং দুষ্টদের দমন করি’। প্রত্যেক জীবন্ত জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হয়, নব জীবন লাভ করার জন্য। এখন পরকাল বা মৃত্যুর পরের জীবন কেমন হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে জীবের জ্ঞানের মাত্রার উপর। পার্থিব জগতের সহায় ধন- সম্পদ- বৈভব কোনটার বিচার করা হয় না পরকালের জীবন দানের ক্ষেত্রে। ঈশ্বর তাই নিজে মুখে বলেছেন জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র বস্তু আর দ্বিতীয় নেই, তাই মানুষের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ যজ্ঞ হচ্ছে বেদ যজ্ঞ। বেদ যজ্ঞের দ্বারাই মানুষ পবিত্র জ্ঞান লাভ করে পবিত্র সত্তায় পরিণত হয়। এই পবিত্র সত্তা চৈতন্যময় হয়ে যেকোন মুহূর্তে দেহত্যাগ করলেও নিজের জ্ঞান হারায় না। কেবল তারা পূরানো পোশাক পালটে নূতন পোশাক পরিধান করে মাত্র। হরি ওঁ তৎ সৎ।

Facebook CommentsShowHide
Disqus CommentsLoadHide