বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০১/ ১০/ ২০১৬ স্থানঃ-
ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃবঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে কলি যুগেও আমরা সত্যযুগের সম্ভার
লাভ করতে পারি সত্যমুখী হয়ে সাধনা করলে।]
ঈশ্বর কল্পতরু। তাঁর রাজ্যে সদায় সত্য-
ত্রেতা- দ্বাপর ও কলির বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এখন কে কোন যুগের হাওয়ার উপর চলে
নিজের জীবন নিয়ে সাধনা করবে সেটার স্বাধীনতা তিনি বেদে দিয়েছেন। সত্যযুগের মানুষ
হিংসা পরায়ণ ছিলেন না, তাই তাঁদেরকেও কেউ হিংসা করতেন না। আমরা যদি কলিযুগে বাস
করে হিংসা ত্যাগ করি তবেই সত্য যুগের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবো। আর হিংসাটা আসে
সত্যকে ত্যাগ করে জীবন অতিবাহিত করার জন্য। মানুষের হিংসুটে মন এই বিশ্বের
পরিবেশকে দূষিত করে তোলে। মানুষকে দেখেই বনের জীব- জন্তুরাও নিজেদের অস্তিত্ব
রক্ষার্থে হিংসা করতে বাধ্য হয়। এই পৃথিবী সমস্ত জীব- জন্তুর আবাসস্থল। মানুষ সবার
শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও সবথেকে লোভী ও হিংসুটে জীব হয়ে উঠেছে সত্যবিমুখ হয়ে। সত্য-
ত্রেতা- দ্বাপর যুগের ন্যায় এই যুগেও চন্দ্র নিজ অমৃতসম সুখপ্রদ চন্দ্রালোক দিয়ে
ধরণীকে আনন্দধারায় প্লাবিত করে রাখে। সূর্যালোকের উত্তাপ জীবকুলের সাধনা করার
উপযুক্ত। মেঘ পরিমিত জল দানে কুণ্ঠাবোধ করেন না। আমরা সব পেয়েও অকৃতজ্ঞ- অহংকারী-
কদাচারী- মিথ্যাবাদী- অনাচারী- হিংসাপরায়ণ জীব হলে কি ঈশ্বরের রাজত্বের স্বাদ লাভ
করতে পারবো? আমরা ঈশ্বরের নিকট থেকে রাম
রাজত্ব গড়ে তোলার জন্য সব উপাদান লাভ করেও যদি আমাদের বাসস্থানকে পাপীস্থান গড়ে
তোলার জন্যই প্রয়াস চালায় এবং সকলকে সেই কাজে উৎসাহ প্রদান করি তবে তো আমাদের ধ্বংস আমরাই ডেকে
আনবো। সেই সাথে সকলকে নিয়ে নরক ভরার কাজেই লিপ্ত থাকবো, এটাই বাস্তব। ওঁ রাম
শ্রীরাম জয় জয় রাম। রঘুপতি রাঘব রাজা রাম।