বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৮/ ০৯/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ মাধ্যমের রাজবাটীতে বাস করেও মনকে সদা
বনবাসী করে ধরে রাখতে হবে তবেই বেদের রহস্য বুঝতে সক্ষম হবে।]
শ্রীরামচন্দ্রকে যখন রাজা দশরথ সিংহাসনে বসাবার
জন্য রাজ্যাভিষেকের ব্যবস্থা করলেন, তখনি তিনি অযোধ্যার সিংহাসন প্রত্যাখ্যান করে
বনবাসী হবার বাসনা অন্তরে জাগ্রত করে বনবাসে যাবার ব্যবস্থা তিনি করলেন বিধাতাকে
দিয়ে। কারণ শ্রীরামচন্দ্রের মন ছিল স্বাধীনচেতা বন্যহস্তীসম আর রাজ্যাভিষেক ছিল
সেই হস্তীকে বন্ধন করার শৃঙ্খলস্বরূপ। তাই তিনি যখন মাতা কৈকেয়ীর প্রস্তাব শুনলেন
এবং বন গমনের কথা শুনলেন তখন তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন। সেইসাথে নিজ মনের
বন্ধন- মুক্তির অনিভুতি লাভ করে স্বর্গীয় আনন্দানুভূতি লাভ করতে লাগলেন। এই আনন্দে
পরিপূর্ণ অবস্থার কথা হয়তো অযোধ্যাবাসীর সবায় জানতে পারলেন না, তাই অনেকেই
বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। ভগবান শ্রীরামচন্দ্র রাজারাম হয়েও রাজসিংহাসনের বন্ধনে
নিজেকে আবদ্ধ করে রাখলেন না প্রজাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। আমরা যদি গৃহবন্দী হয়ে
থাকি তবে তো মনের প্রসার ঘটবে না আর মনের প্রসার না ঘটলে কেউ রাজমন লাভ করতে পারে
না। রাজ মন লাভ না করে কেউ রাজসিংহাসনে বসলে সে কখনো প্রজাদের মনকে জয় করতে সক্ষম
হবে না। বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী হয়ে সকলে শ্রীরামের চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করুন
দেখবেন রাম চরিত্র আপনাদের সকলের হৃদয় মন্দিরে জেগে উঠবে তখন কেউ আর নিজের মনকে
গৃহবন্দী করে ধরে রাখতে পারবেন না। বনবাসে থাকার যে কি আনন্দ তা সহজেই উপভোগ করতে
পারবেন। জয় শ্রীরাম
