বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—০৭/ ০৯/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে কলি যুগের ধর্মকে জেনে কলির সমাজের
বিপরীত স্রোতে চলতে শিখো তবেই সত্য দর্শন হবে।]
কলি যুগে বেদ যজ্ঞে কারোও ভক্তি থাকে না তাই
সবায় ভেদ নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে বন্ধুপক্ষ ও শত্রুপক্ষের সৃষ্টি করে। যারা
একপক্ষকে বন্ধু এবং অপরপক্ষকে শত্রু ভাবে তারা কখনো নায্য বিচার করতে পারে না। এই
কলি যুগে বর্ণাশ্রমজনিত ধর্ম থাকে না। বেদের নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত চতুষ্টয় আশ্রম
থাকে না মানব সমাজে। এই ফাঁকে তখন নরনারী নির্বিশেষে সকলেই বেদের বিরোধিতায় লিপ্ত
হয়। ব্রাহ্মণ বেদবিদ্যা বিক্রেতা হয়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়ায়। রাজা প্রজার
শোষণকারী হয়ে যান। বেদের বিধানকে অমান্য করতে কারো বিবেকে সামান্য আঘাৎ লাগে না।
নিজের ইচ্ছায় সকলের পথ হয়ে দাঁড়ায়। যে গলাবাজি করে তাকেই কলিযুগে পণ্ডিত বলা হয়।
মিথ্যাচারী ও দাম্ভিক সন্ত বলে পরিচিতি পায়। যে অসৎপথে অপরের ধনসম্পদ হরণ করে
তাকেই কলিযুগে বুদ্ধিমান বলা হয়। যে দাম্ভিক তাকেই সদাচারী বলা হয়। যে মিথ্যা বলে আর
হাস্যকৌতুকে নিপুণ হয় তাকেই কলিযুগে জ্ঞানী ও
বৈরাগ্যবান বলা হয়। যার বিশাল নখ ও বিশাল জটাজুট তাকেই কলিযুগে প্রসিদ্ধ তপস্বী
বলা হয়। আমরা যদি সত্য যুগে যেতে চাই তবে অবশ্যই কলির কালিমা বিধৌত্য করতে হবে এই
যুগের মানুষের চরিত্রের বিপরীত চরিত্র গঠন করে। আমরা যখনি বিশ্বমানব শিক্ষার কর্মী
হয়ে সমাজের বিপরীত স্রোতে অর্থাৎ কলির বিপরীত ধর্মের স্রোতে গা ভাসাবো তখনি কিন্তু
আমরা সত্যযুগের দিকে পাড়ি দিতে সক্ষম হবো। জয় শ্রীরাম