বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—২৩/ ০৯/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ---[ বেদ যজ্ঞ করে সঙ্ঘবদ্ধ
শক্তি অর্জন করো, শক্তিধর দেশ- জাতিই কেবল সারা বিশ্বে শান্তির বার্তা প্রেরণ করতে
পারেন।]
যে জাতির বেদের জ্ঞান নেই সে জাতির শক্তি নেই।
তাদের শক্তি চোরাবালির উপর দাঁড়িয়ে থাকে এবং নিজে্দের শক্তিবানে নিজেরাই ধ্বংস হয়।
আর যারা বেদ যজ্ঞ করে তর্পণের দ্বারা বন্ধুদের তুষ্ট করেন, তাঁরা সদায় বর্ধনশীল
হয়ে দেবরাজ ইন্দ্রের সন্তুষ্টি বিধান করে দেবসেনা দ্বারা নিজের দেশকে সুরক্ষিত
রাখেন। যাহা কল্যাণকর তাহাই সেই দেশের জনগণ সময়ে দেখতে পান। ভারতবর্ষ প্রাচীন
দেবভূমি। এই ভুমির ধ্যান করে সকলে ভৌম অর্থাৎ মাটির মানুষ হয়ে মাটির ন্যায় উর্বরা –
সহনশীল – ধৈর্যশীল হয়ে অবস্থান করেন। এখানকার মানুষগণ আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের ধারার
সাথে যুক্ত হয়ে দৈবীশক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে থাকেন এবং তাঁরা জানেন তাঁরাও দেবতাদের
ন্যায় অমর। পঞ্চভূতের আধার সাময়িক কালের জন্য সৃষ্টি হয় আবার ধ্বংস হয় কিন্তু
তাঁদের দৈবী সত্তার কোন পরিবর্তন হয় না। ভারতের আধ্যাত্মিক শক্তি বা বেদের শক্তির
সংঘবদ্ধ রূপই হলো ঈশ্বরের বিশ্বরূপ। যখন ভারতের মাটিকে রাক্ষস প্রজাতির মানুষ দখল
করার জন্য ও কলুষিত করার জন্য এগিয়ে আসে তখনি এই মাটিকে পবিত্র রাখার জন্য জেগে
উঠে বিশ্বরূপ একহাতে শান্তির বানী অপর হাতে বজ্রসম অস্ত্র নিয়ে। ওঁ রাম শ্রী রাম
জয় জয় রাম। রঘুপতি রাঘব রাজা রাম।