বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—২২/ ০৯/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে প্রতিদিন
সোমরস পান করে আনন্দধামে অবস্থান করবে, তাহলেই এই পার্থিব জগতের কোন আবর্জনা
তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না।]
অনেকের
ধারণা বেদের ঋষিরা সোমরস নামে এক উত্তেজক পানীয় নেশার জন্য পান করতেন। এই ধারণা
ভ্রান্ত ধারণা। সোমের অনন্ত মহিমা পৃথিবী, অন্তরিক্ষ, স্বর্গও অনুধাবন করতে পারে
না। পর্বত এর মহিমা স্পর্শ করতে পারে না। সোমধারা আত্মার অন্তর্নিহিত দিব্য আনন্দ।
তাই সোমরসের কি মহিমা তা একমাত্র যারা ‘ ওঁ রাম শ্রীরাম জয় জয় রাম’ মন্ত্র সদায়
বেদ যজ্ঞ আহুতি দেন তাঁরাই জানেন। সোম রস হচ্ছে বেদের তুরীয়ানন্দ, অমৃতত্ব,
পরাশান্তির ঘর, আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের আনন্দ অমৃতম সুত্র। চিন্ময় আলোকে উদ্ভাসিত
হয়ে যে আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের আনন্দ ধারা সাধকের সত্তায় নেমে আসে বেদ ভগবানের
আশীর্বাদ হয়ে, প্রসাদ হয়ে, তাই হলো সোম। এই সোম হলো বেদ বা জ্ঞান- বিজ্ঞানের
সুত্র, সোম হলো প্রেম-
বিজ্ঞানের সুত্র। এই সোমরস পান করেই বৈদিক যুগের মুনি-
ঋষিরা সপ্তলোক ভ্রমণ করতেন এবং সমস্ত লোকের দেব- দেবতা যোগী- মুনি- ঋষিদের সাথে
আত্মীয়তার সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সোম রস
পান করেই তাঁরা অপ্রাকৃত শ্রী মদন শ্রীকৃষ্ণ – শ্রীরাম- শ্রীবিষ্ণু সহ ভগবানদের এক ওঁ ধ্বনিকে পেষণ করে অহরহ এই
ধরার বুকে টেনে আনতেন এবং এই আনন্দধামে তাঁদের সাথে লীলা করতেন। ওঁ কার ধ্বনি থেকে সোমরস বের করার পদ্ধতি একমাত্র
তাঁরাই জানতেন এবং এই সোমরসকে নিয়ে কত আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের সুত্র ও সংগীত রচনা
করতেন। যেগুলি এখনো অমর হয়ে আছে ভারতীয় দর্শনে । জয় বেদ যজ্ঞের জয়।