বেদ যজ্ঞ
সম্মেলনঃ—২০/ ০৯/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা* মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিসয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞ করে তোমরা প্রকৃত
নীরবতার সন্ধান চালাও তাহলেই পরম প্রাপ্তি লাভ করবে।]
বেদ যজ্ঞ করার অর্থই হলো ভিতরের ওঁ ধ্বনিকে
জাগ্রত করা। ওঁ –ধ্বনির বিনাশ নেই। ওঁ-ই ব্রাহ্মণ। ওঁ- ই পৃথিবী। ওঁ – শব্দই
ব্রহ্ম। ওঁ – ধ্বনি সর্বপ্রাণের কথা। এই ওঁ – ধ্বনি শুধু ধ্বনিই নয়—এ হচ্ছে এক
বিশাল নীরবতাও। এই মহাধ্বনি উচ্চারণের মাধ্যমে এক নীরবতার স্তর আছে, উপনিষদে যাকে
বলা হয়েছে ‘তুরীয়’। মানুষ চেতনার বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে পরিণামে চরম নীরবতায়
বিলীন হয়। এই নীরবতার সন্ধান-ই দিয়ে চলেছেন ভারতের দর্শন শাস্ত্রের বিভিন্ন শাখা।
বেদ- উপনিষদ – পুরাণ – গীতা প্রভৃতি শাস্ত্র গ্রন্থের মূল লক্ষ্য হলো প্রকৃত সত্য
জ্ঞানের জগতে মানুষকে নিয়ে গিয়ে নির্বিকল্প সমাধির মাধ্যমে মাধুর্যমণ্ডিত নীরবতায়
লীন করা। তাই বৈদিক মুনি- ঋষিদের পথ আমরা অনুসরণ করলে দেখতে পাবো, তাঁদের প্রকৃত
সাধনার পথ শুরু হতো নীরবতার এক মাধুর্যময় পরিবেশে। তারপর যাত্রা শুরু হতো অনন্ত
শাশ্বত নিরবতার লক্ষ্যে—যেখানে গেলে মানুষের পরম প্রাপ্তি ও পরমশান্তি। ওঁ রাম
শ্রীরাম জয় জয় রাম। রঘুপতি রাঘব রাজা রাম।