বেদ যজ্ঞ সম্মেলনঃ—১৮/ ০৯/ ২০১৬ স্থানঃ—ঘোড়শালা*
মুর্শিদাবাদ* পঃ বঃ
আজকের আলোচ্য বিষয়ঃ—[ বেদ যজ্ঞের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের শক্তি
অর্জন করে বস্তুবিজ্ঞানের ধ্বংসাত্মক রূপের বিনাশ ঘটাতে হবে।]
বেদকে আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের আকর বলা হয়। এই
ব্রহ্মাণ্ড আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের দ্বারাই অনন্তকাল ধরে চলছে। আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের
ধারার পরিবর্তন কেউ ঘটাতে পারেন না। এই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের ধারা মেনেই জাগতিক
বস্তু বিজ্ঞানের সৃষ্টি মানব সভ্যতার উন্নতির জন্য। এই বিজ্ঞানের ধারাকে যখন মানুষ
মানবিক সভ্যতার উন্নয়নে না লাগিয়ে তা ধ্বংস করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে তখনি
আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের প্রয়োগ করে বস্তুবিজ্ঞানের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়। একদা রাবণ বস্তুবিজ্ঞানের উন্নয়ন ঘটিয়ে অহংকারী- অভিমানী-
কদাচারী হয়ে মানব জাতিকে রাক্ষস জাতিতে পরিণত করেছিলেন তা সবার জানা। শেষে তিনি
সমগ্র রাক্ষস জাতিকে ধ্বংস করলেন সামান্য এক তাপস রামের হাতে সমর্পণ করে। আজ সারা
পৃথিবী জুড়েই চলছে রাবণের ন্যায় পরিকল্পনা মানবজাতিকে নিয়ে। কিভাবে এই জাতিকে বড়
বড় রাক্ষসে পরিণত করে দিয়ে বিশ্বকে নিজেদের দখলে রাখা যায়। তাই এখন বিশ্ববাসীকেই
চিন্তা করে আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানের দ্বারা বস্তুবিজ্ঞানের অহংকার চূর্ণ করে মানবজাতি
সহ সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। ছোট ছোট দেশ যেভাবে রাক্ষসশ্রেণির মানুষ হয়ে
উঠেছে আধুনিক বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তাতে তারা মানবিক সভ্যতার কোন মুল্যই দিতে চায়
না ঠিক সেযুগের রাবণের ন্যায়। জয় বেদ যজ্ঞের জয়।